দিল্লির তিহার কারাগারে বন্দী ইঞ্জিনিয়ার রশিদ নামে পরিচিত কাশ্মীরি নেতা শেখ আবদুল রশিদ লোকসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে পারবেন। ৫ জুলাই তাঁকে শপথ নিতে হবে। দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা জজ চন্দ্রজিৎ সিং কাল মঙ্গলবার সেই রায় দেবেন। আজ সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) রশিদের শপথ গ্রহণের আরজিতে কোনো আপত্তি জানায়নি।
সন্ত্রাসীদের অর্থ জোগানোর অভিযোগে ২০১৯ সাল থেকে এনআইএর হাতে বন্দী প্রকৌশলী রশিদ। দিল্লির তিহার জেল তাঁর ঘরবাড়ি। জেলে থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি এবার লোকসভার ভোটে লড়েছিলেন। তাঁর হয়ে প্রচার করেছিলেন তাঁর দুই ছেলে। লোকবল ছিল না। অর্থবলও ছিল না। বন্দী থাকায় নিজে প্রচারও করতে পারেননি। তবু জম্মু–কাশ্মীরের বারামুল্লা আসনে তিনি দুই লাখের বেশি ভোটে হারিয়ে দেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকে।
আজ প্রকৌশলী রশিদের শপথ গ্রহণের আরজিতে আপত্তি জানাননি এনআইএর আইনজীবী। তবে তিনি বলেন, অনুমতি হওয়া উচিত শর্তাধীন, যেমন গণমাধ্যমের কাছে তাঁর কথা বলার অনুমতি থাকবে না। এক দিনের মধ্যেই কাজ সেরে তাঁকে কারাগারে ফিরে যেতে হবে।
বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইন বা ইউএপিএতে বন্দী প্রকৌশলী রশিদ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। নিম্ন আদালত সে বিষয়ে এনআইএর অভিমত জানতে চেয়েছিলেন।
রশিদকে শপথ নিতে হবে ৫ জুলাই। অথচ সংসদের বর্তমান অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ৩ জুলাই। সে ক্ষেত্রে রশিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার চেম্বার বা অফিসে।
শপথ নিলেও ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আগামী অধিবেশনগুলোয় সংসদে উপস্থিত থেকে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি? প্রশ্নটি আগামী দিনে উঠতে বাধ্য। কারণ, আদালতে তিনি ইতিমধ্যেই নির্বাচিত প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের আবেদন জানিয়েছেন।
রশিদের আইনজীবী ভি ওবেরয় জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে বলেছিলেন, তাঁর জয়ের মধ্য দিয়ে বারামুল্লার জনগণের গণতান্ত্রিক রায় প্রতিফলিত হয়েছে। বিপুল ভোটে তিনি জিতেছেন। মানুষ তাঁকে ভালোবাসে। তারা চায়, তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে তিনি গণতান্ত্রিকভাবে সংসদে লড়াই করুন।