‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠে গেল। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে যাত্রা নির্বিঘ্নে শেষ করা নিয়ে সংশয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে যাত্রা চলাকালীন নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে এক যুবক রাহুলের কাছে চলে আসেন ও তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। যাত্রাসঙ্গী ও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সরিয়ে দেন। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দুদিন আগে কর্ণাটকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও এক যুবক মালা হাতে চলে এসে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। এবার একই ধরনের ঘটনা ঘটল ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায়।
এ যাত্রা ও তাকে ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সরকারের মতানৈক্য রয়েছে। কংগ্রেস নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। নিরাপত্তা আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের অভিযোগ, রাহুলসহ অন্যরা প্রটোকল মানছেন না। ২০২০ সাল থেকে রাহুল ১১৩ বার নিরাপত্তাবিধি ভঙ্গ করেছেন জানিয়ে সিআরপিএফ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনা সেই বিতর্ক নতুন করে উসকে দিল।
এ বিতর্কের মধ্যেই কংগ্রেসকে সতর্ক করে দিয়েছে বিভিন্ন নিরাপত্তারক্ষী সংস্থা। ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা জম্মু–কাশ্মীরে প্রবেশের আগেই তারা জানিয়েছে, উপদ্রুত এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনো কোনো জায়গায় রাহুলের পদযাত্রা করা ঠিক হবে না।
সংবাদ সংস্থা এনডিটিভি এ খবর জানিয়ে বলেছে, জম্মু থেকে শ্রীনগরে যাওয়ার পথে আশঙ্কাযুক্ত এলাকায় রাহুলকে পদযাত্রা না করে গাড়িতে চেপে যেতে বলা হয়েছে। কোথায় রাত্রিবাস করা উচিত, কোথায় নয়—সে বিষয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, জম্মু–কাশ্মীরে শয়ে শয়ে মানুষ যাত্রাসঙ্গী না হওয়া বাঞ্ছনীয়। হাঁটতে হলে রাহুল যেন অল্প সঙ্গী নিয়ে হাঁটেন।
রাহুল গান্ধী সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তার অধিকারী। এর অর্থ ৮–৯ জন কমান্ডো সর্বদা তাঁকে ঘিরে থাকেন।