ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২০ কোটি রুপি জব্দ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ওই অভিযান চালানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন তদন্ত সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উদ্ধার হওয়া এ অর্থের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সম্পর্ক থাকতে পারে।’
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। যখন তিনি শিক্ষামন্ত্রী, তখন পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (ডব্লিউবিএসএসসি) সরকার পরিচালিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোয় অবৈধ নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস এ অভিযানকে রাজনৈতিক বিরোধীদের হয়রানি করতে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের ‘চাল’ বলে অভিহিত করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্পিতার বাড়িতে ইডির অভিযান পরিচালনাকারী দল গণনাযন্ত্রের (কাউন্টিং মেশিন) মাধ্যমে রুপির হিসাব করার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাহায্য নেন। এ ছাড়া অভিযানের সময় তোলা বাড়ির ছবিতেও দেখা যাচ্ছে, ২০০০ ও ৫০০ রুপির বিপুলসংখ্যক নোট জব্দ হয়েছে।
অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০টি মুঠোফোন জব্দ করেছেন ইডির কর্মকর্তারা। এসব মুঠোফোন কী কাজে ব্যবহার করা হতো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ সি অধিকারী, বিধায়ক (এমএলএ) মানিক ভট্টাচার্য ছাড়াও কয়েকজনের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘দেশজুড়ে শহীদ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সমাবেশের এক দিন পরে ইডির এই অভিযান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের হয়রানি ও ভয় দেখানোর চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।’
তবে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বড় ধরনের দুর্নীতিতে সহায়তা করেছে।