ক্রিকেটার জাদেজার স্ত্রী বিজেপির প্রার্থী

বিজেপি লোগো
বিজেপি লোগো

ভারতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবাকে বিজেপি গুজরাট নির্বাচনে দলের প্রার্থী করল। মোদি-রাজ্য গুজরাটের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মোট ১৮২ আসনের মধ্যে ১৬০ আসনের প্রার্থী তালিকায় এটা এক চমক। রিভাবা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। গুজরাটে প্রথম দফার ভোট ১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় দফার ভোট ৫ ডিসেম্বর। ৮ ডিসেম্বর গণনা।

জামনগর (উত্তর) বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক ধর্মেন্দ্রসিন জাদেজাকে বাদ দিয়ে রিভাবাকে প্রার্থী করা হয়েছে। ধর্মেন্দ্রসিনের মতো ৩৮ জন বিধায়ককে এবার বিজেপি টিকিট দেয়নি। ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি, সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল, প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ভূপেন্দ্র চুদাসমাসহ একাধিক নেতা। প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার আগেই তাঁরা দলকে জানিয়ে দেন, এই ভোটে তাঁরা দাঁড়াতে চান না। কংগ্রেসের যে সাত বিধায়ক দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে। এঁদের অন্যতম পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল, যিনি ২০১৭ সালের ভোটে কংগ্রেসের প্রচারে ঢেউ তুলেছিলেন। হার্দিক প্রার্থী হয়েছেন আহমেদাবাদের বিরামগ্রাম কেন্দ্রে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে প্রার্থী করা হয়েছে আহমেদাবাদে তাঁর পুরোনো কেন্দ্র ঘাটলোদিয়ায়।

এই হার্দিক প্যাটেলের হাত ধরেই গত লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজার বাবা অনিরুদ্ধসিন ও বোন নইনাবা। রিভাবার বাবা হরিসিন সোলাঙ্কিও ছিলেন একসময়ের কংগ্রেস নেতা। রাজপুত হওয়ার দরুন রিভাবার পরিবারদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে সৌরাষ্ট্র-জামনগর এলাকায়। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রিভাবা বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

টানা ২৭ বছর গুজরাটে কংগ্রেস ক্ষমতার বাইরে। এই দীর্ঘ সময়ের অল্প কিছুদিন বাদ দিলে বিজেপিই রাজ্য চালাচ্ছে। এবার ভোটের চরিত্র ত্রিমুখী। কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলকে টক্কর দিতে আসরে নেমেছে আম আদমি পার্টি। বিজেপির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দল হিসেবে রাজ্যে আম আদমি পার্টি মাথা তোলে কি না, সেটাই এবারের ভোটের মূল আকর্ষণ। দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপির বিরুদ্ধে স্বাভাবিক একটা ক্ষোভ রাজ্যবাসীর একাংশের মনে জমা হয়েছে। যদিও তা ছাপিয়ে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরছেন গুজরাটি জাতিসত্তাকে।

কিছুদিন আগে মরবীতে ঘটে গেছে এক মারাত্মক সেতু দুর্ঘটনা। ঝুলন্ত সেতু ভেঙে মারা যান ১৩৫ জন। গুরুতর আহতও হন বহু। ওই দুর্ঘটনা শাসক বিজেপির প্রতি এক বিরাট ধাক্কা। জনরোষের সামাল দিতে মরবীর বিধায়ককে বিজেপি এবার প্রার্থী করেনি। সে জায়গায় টিকিট দিয়েছে ৬০ বছর বয়সী সাবেক বিধায়ক কান্তিলাল অর্মুতিয়াকে, যিনি সেতু দুর্ঘটনার পর নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছিলেন।