পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিলের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছেন বিরোধীরা

মুর্শিদাবাদের লালবাগে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত এক ব্যক্তিকে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে
ছবি: প্রথম আলো

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার প্রতিবাদে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিজেপি ও বামদলের সদস্যরা। তারা অবিলম্বে এ নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলেছে। বিক্ষোভ থেকে নিবার্চন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ঘোষণা এসেছে।

এদিকে গতকাল শনিবার ভোটগ্রহণের দিনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী সহিংসতায় ১৭ জনের প্রাণ গেছে। 

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের বাদুরিয়া, নিমতিতাসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারকে ভয় দেখিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টার মধ্যে তৃণমূলের নামধারী ভোট লুট বাহিনীর সদস্যরা ব্যালট নিয়ে তাতে সিল দিয়ে তা ব্যালট বাক্সে ভরে দেয়। এরপরেই তারা ভোটারদের জানিয়ে দেন, ভোট শেষ।

রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে বলে উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অনেক জায়গায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ব্যালট বাক্সে পানি ঢেলে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের গাড়িতে হামলা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিলের দাবি নিয়ে আগামী মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। 

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক কেন্দ্রে তা ছিল না। এসব কেন্দ্রে অনিয়ম করা হয়েছে। তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে এসব কেন্দ্রে আবার নির্বাচন করতে হবে।

এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতায় ১৭ জনের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। মৃতদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামদলের কর্মী ও সমর্থকেরা রয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালের সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় ২৩ জন নিহত হয়েছিলেন।