নির্বাচন কমিশনার অরুন গোয়েল
নির্বাচন কমিশনার অরুন গোয়েল

ভারতে এক নির্বাচন কমিশনারের আকস্মিক পদত্যাগ, আছেন শুধু সিইসি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নির্বাচন কমিশনার অরুন গোয়েল পদত্যাগ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) তিন সদস্যের কমিশনার বেঞ্চের মধ্যে গত মাসে একজন অবসরে যান। ফলে এখন শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমারই নির্বাচন সামলানোর দায়িত্বে আছেন।

পদত্যাগপত্র ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠিয়ে দিয়েছেন অরুন। তা গৃহীতও হয়েছে। এর আগে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো শনিবার এনডিটিভিকে জানিয়েছিল, আগামী সপ্তাহে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। তবে অরুনের পদত্যাগের ফলে এখন এই সময়সীমা নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন অরুন। তাঁরা আরও বলেন, পদত্যাগ না করতে তাঁকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল সরকার। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তিনি।

স্বাস্থ্যগত কারণে অরুন পদত্যাগ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, অরুনের স্বাস্থ্য ঠিকঠাকই আছে। এক কর্মকর্তা বলেন, শূন্য দুই পদে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার।

অরুন ইন্ডিয়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (আইএএস) ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর স্বেচ্ছায় অবসরে যান। একদিন পরই তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন তাঁকে এভাবে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

অরুন ২০২৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারতেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে রাজিব কুমারের স্থলাভিষিক্ত হতে পারতেন তিনি। আগামী বছরই রাজিব কুমারের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।

‘খুবই উদ্বেগজনক’

অরুনের পদত্যাগের আগে আশঙ্কা ছিল, শুধু তিনি এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কারণ, তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনার বেঞ্চের আরেক সদস্য অনুপ পান্ডে গত মাসে অবসরে গেছেন।

নির্বাচন কমিশনার অরুনের পদত্যাগকে ‘খুব খুবই উদ্বেগজন’ বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সাকেত গোখেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, এখন প্রধানমন্ত্রী, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।

গোখেল আরও লিখেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনারের বেঞ্চের দুজনকে নিয়োগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কংগ্রেস নেতা কে সি ভেনুগোপালও নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগকে খুবই উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশন কীভাবে কাজ করে আসছে, সেটার ‘কোনো ধরনের স্বচ্ছতা নেই’।