বাংলাদেশ ও ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবন-জীবিকার ওপর হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট। বামফ্রন্ট কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে শুক্রবার এই প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বামফ্রন্ট শুক্রবার বিকেলে কলকাতার কেন্দ্রস্থল ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। তাদের দাবি বাংলাদেশ ও ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবন-জীবিকার ওপর আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। মিছিলটি পার্ক সার্কাসের লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বামফ্রন্টের শরিক দল সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমসহ বামফ্রন্টের শরিক দলের নেতা–কর্মীরা।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতার শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপির সহযোগী সংগঠন ‘সনাতনী সমাজ’। মিছিল শেষ হয় নগরের সিঁথির মোড়ে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিধায়ক ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই অবিলম্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু নির্যাতন বন্ধ করুক।’
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ‘নির্যাতনের’ অভিযোগে ১০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ ঘোষণা দেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) দিল্লি ইউনিটের জনসংযোগ কর্মকর্তা রজনিশ জিন্দাল। এ ছাড়া ১০ ডিসেম্বর নাগপুরে মিছিল ও মোটরসাইকেল র্যালি বের করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিপীড়ন’ নিয়ে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে ভারতের সাবেক বিজেপি নেতা ও কর্ণাটকের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা করেছে কংগ্রেসশাসিত কর্ণাটক রাজ্যের পুলিশ।