ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার দুপুরের দিকে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে এই হামলা চালান। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি গভীরভাবে দুঃখজনক।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কূটনৈতিক ও কনস্যুলার স্থাপনাকে কোনো অবস্থাতেই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীও ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এটাও মনে রাখতে হবে, এটা কিন্তু দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রকাশ।’
আগরতলা থেকে এক সাংবাদিক টেলিফোনে সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, দুপুরের দিকে সহকারী হাইকমিশনে হামলা হয়। সেখানে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠন এ হামলা চালায়। তারা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেয় এবং সেখানে ছোটখাটো কিছু ভাঙচুরও করা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা এই বিক্ষোভ–ভাঙচুর চলে। পরে তাঁরা মিছিল করে সেখান থেকে চলে যান।
কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন আগরতলা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করছিল। দুপুরে তারা হঠাৎ করে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে বলে আগরতলার ওই সাংবাদিক জানান।
এদিকে ত্রিপুরার হোটেল অ্যাসোসিয়েশন এক জরুরি সভা করে সোমবার বলেছে, রাজ্যের সব হোটেল পরিষেবা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। আগের দিন রোববার একটি হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বলেও জানা গেছে।
রোববার আসামের শ্রীভূমির (সাবেক করিমগঞ্জ) সুতারকান্দিতেও বড় ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সনাতনী ঐক্য মঞ্চ নামে একটি সংগঠন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবিতে এই প্রতিবাদ করা হয় বলে সংগঠকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।