প্রতীকী ছবি। রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

অভিজ্ঞতার সনদ পেতে তিন মাসের বেতন ফেরতের শর্ত

কর্মস্থলে প্রচণ্ড কাজের চাপ। অসুস্থ হয়েও ছুটি পাচ্ছিলেন না এক কর্মী। বাধ্য হয়ে পদত্যাগপত্র দেন। কিন্তু তাতেও বাদ সাধে প্রতিষ্ঠান। একপর্যায়ে শারীরিক জটিলতার কারণে ওই কর্মী আর পেরে উঠছিলেন না। দ্বিতীয় দফায় পদত্যাগপত্র দেন। এবারও ব্যর্থ হন। পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে উল্টো তাঁকে বরখাস্তই করে বসে প্রতিষ্ঠান।

অঘটন এখানেই থেমে থাকেনি। ওই কর্মী তাঁর সাবেক প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিজ্ঞতা সনদ চাইতে যান। তখন তাঁকে দেওয়া হয় অদ্ভুত এক শর্ত। ফেরত চাওয়া হয় তিন মাসের বেতন।

সম্প্রতি ওই কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’-এ তাঁর এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। ভারতের চেন্নাইয়ে নতুন চাকরি খুঁজে পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে রেডিটে তিনি ‘র‌্যান্ডি৩১৫৯৯’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট চালান।

ওই কর্মী লিখেছেন, ‘আমি একজন প্রকল্প ব্যবস্থাপক। আট মাসের বেশি সময় ধরে আমি কোম্পানিটির জন্য কাজ করছি। বেতন বাড়লেও কাজের চাপ অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। এক মাস আগে আমার ফ্যাটি লিভারের সমস্যা শনাক্ত হয়। এরপর আবার জলবসন্ত। আমি তিন দিনের ছুটি চাইলে সিইও আমাকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেন। আমি তাতে রাজি হইনি।’

ভুক্তভোগী ব্যক্তি আরও লেখেন, স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে তাঁর বিশ্রাম নেওয়ার দরকার ছিল। এ কারণে তিনি পদত্যাগ করেন এবং এক মাসের মধ্যেই আগাম অব্যাহতি চান। তবে সিইও তাঁকে ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেন না। কাজ চালিয়ে যেতে চাপাচাপি করছিলেন।

এরপর ওই কর্মী এক গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন। তিনি এটি জানিয়ে আবারও পদত্যাগপত্র জমা দেন। আবারও তাঁর পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করা হয়। উল্টো পদত্যাগপত্র দেওয়ার পরদিন তাঁকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে ই–মেইল করে কোম্পানি। বরখাস্ত হওয়ার পর ওই কর্মী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তাঁর অভিজ্ঞতার সনদ চান। তখন কোম্পানিটি অদ্ভুত শর্ত বেঁধে দেয়। বলে, সনদের বিনিময়ে তাঁর তিন মাসের বেতন প্রতিষ্ঠানকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

নিজের এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন ওই ভুক্তভোগী। জবাবে কয়েকজন ব্যবহারকারী তাঁকে ভালো একজন আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ বলছেন, তাঁর উচিত শ্রম মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হওয়া। একজন আবার মজা করে লিখেছেন, ‘আপনার উচিত ছিল জলবসন্ত নিয়েই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে ঘুরে বেড়ানো। তাহলে যা চাইতেন, তা–ই পেতেন।’