অটোয়ার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে আজ মঙ্গলবার ভারতে নিযুক্ত কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে নয়াদিল্লি।
কানাডার যে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে ভারত বহিষ্কার করেছে, তার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে এই কানাডীয় কূটনীতিককে ভারত ত্যাগ করার জন্য পাঁচ দিন সময় দিয়েছে নয়াদিল্লি।
কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জেরে গতকাল সোমবার ভারতের এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে অটোয়া।
অটোয়া যাঁকে বহিষ্কার করেছে, তিনি কানাডায় ভারতের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) প্রধান ছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁরা নাম পবন কুমার রাই। অটোয়ার পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে ভারত এখন কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করল।
নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কানাডীয় কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপসহ ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে তাঁদের জড়িত থাকার জন্য দেশটির (কানাডা) এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত জুনে কানাডায় হরদীপকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের হাত থাকার অভিযোগ এনেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
গতকাল ট্রুডো কানাডার পার্লামেন্টে বলেন, হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টদের হাত থাকার বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। ট্রুডোর এ অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার উত্তর-পশ্চিমের ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুপরিচিত শিখ নেতা ছিলেন হরদীপ। তিনি ভারতের পাঞ্জাবে শিখদের স্বাধীন রাষ্ট্র খালিস্তানের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা চালাতেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, হরদীপকে ‘ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছিল ভারত। হরদীপ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা বেড়ে চলছিল। সবশেষ পদক্ষেপ অটোয়া-নয়াদিল্লির মধ্যকার সম্পর্ককে নাটকীয়ভাবে তলানিতে নিয়ে গেল।