আরব সাগরে যে বাণিজ্যিক জাহাজটিতে ড্রোন হামলা হয়েছে, সেটিতে থাকা ক্রুদের মধ্যে ২০ জনই ভারতীয়। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার ‘এমভি কেম প্লুটো’ নামের রাসায়নিকবাহী জাহাজটিতে ড্রোন হামলা হয়। এতে জাহাজটিতে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যায়, তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে এএনআইয়ের খবরে বলা হয়।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটিতে ড্রোন হামলা হয়েছে। জাহাজটি রাসায়নিকবাহী ছিল।
এএনআই জানায়, এমভি কেম প্লুটোর দিকে ভারতীয় কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ অগ্রসর হচ্ছে। এমভি কেম প্লুটো ভারতের গুজরাট রাজ্যের পোরবন্দর উপকূল থেকে ২১৭ নৌমাইল দূরে অবস্থান করছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতীয় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির একটি ডর্নিয়ার সামুদ্রিক নজরদারি উড়োজাহাজ ইতিমধ্যে হামলার শিকার জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
এনডিটিভির খবর বলছে, কেম প্লুটো অপরিশোধিত তেল বহন করছে। জাহাজটি সৌদি আরবের একটি বন্দর থেকে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালুরুর দিকে যাচ্ছিল।
ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির কোস্টগার্ডের জাহাজ আইসিজিএস বিক্রম আগে থেকেই ভারতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে টহল দিচ্ছিল। আইসিজিএস বিক্রমকে হামলার শিকার জাহাজটির দিকে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোস্টগার্ডের জাহাজটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে থাকা সব জাহাজকে এমভি কেম প্লুটোকে সহায়তা দিতে বলেছে।
এমভি কেম প্লুটোতে থাকা সব ক্রু সদস্য নিরাপদে আছেন।
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমভি কেম প্লুটো এখন ১১ নৌমাইল গতিতে চলছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে জাহাজটি আইসিজিএস বিক্রমের সঙ্গে যোগ দেবে।
ভারতীয় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, জাহাজটি আগামীকাল সোমবার ভোরে ভারতের মুম্বাইয়ে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড্রোন হামলার পর জাহাজটি তার স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। জাহাজ ট্র্যাকিংয়ের (অনুসরণ) ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা যেতে পারে। অনুসরণ এড়াতে তারা এই কাজ করে।