ভারতের ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে গত পাঁচ বছরে জালিয়াতি হয়েছে প্রায় ৩ লাখ কোটি রুপি। এর মধ্যে শুধু ২০১৯-২০ অর্থবছরেই জালিয়াতি হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি রুপির বেশি। আজ সোমবার লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাড।
লোকসভায় প্রশ্নটি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, ২০১৮-১৯ থেকে শুরু করে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত পাঁচ বছরে প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন কত? অর্থ প্রতিমন্ত্রী জবাব দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী।
সে তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২০১৮-১৯ সালে ৫০ হাজার ২৬৪ কোটি, ২০১৯-২০ সালে লোকসভা নির্বাচনের বছরে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৯২ কোটি, ২০২০-২১ সালে ৬৭ হাজার ৪৫৯ কোটি, ২০২১-২২ সালে ৩২ হাজার ৩৭৫ কোটি ও ২০২২-২৩ সালে ১৯ হাজার ৭৫ কোটি রুপি জালিয়াতি হয়েছে।
সরকারি হিসাবে সবচেয়ে বেশি জালিয়াতি হয়েছে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায়। পাঁচ বছরে শুধু এই ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে ৫৮ হাজার ৪৭৬ কোটি রুপি। দ্বিতীয় স্থানে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের মোট ক্ষতি ৪৫ হাজার ৬৬৭ কোটি রুপি। তৃতীয় স্থানে ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ক্ষতি ৩৭ হাজার ৯৭২ কোটি রুপি। পর্যায়ক্রমে অন্য ব্যাংকগুলো হলো ব্যাংক অব বরোদা, কানাড়া ব্যাংক, ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংক, ইন্ডিয়ান ব্যাংক, সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ইউকো ব্যাংক, ব্যাংক অব মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংক।
প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাড জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে ৩৪ কোটি ১৪ লাখ রুপি।