ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু

যুক্তরাষ্ট্রে রাহুলের বক্তব্যকে নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন মন্ত্রী রবনীত

যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গিয়ে শিখ সম্প্রদায় নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাঁর ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু। গতকাল রোববার তিনি বলেন, রাহুল ভারতের নাগরিক নন। যদি ১ নম্বর সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা হয়, তাহলে সেই সন্ত্রাসী হবেন রাহুল গান্ধী।

দেশের শত্রুরা রাহুলকে সমর্থন করে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী রবনীত সিং। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী ভারতীয় নাগরিক নন। তিনি বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে কাটান। তিনি নিজের দেশকে যথেষ্ট ভালোবাসেন না। কারণ, তিনি বিদেশে যান এবং সবকিছু ভুলভাবে উপস্থাপন করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় যাঁদের নাম আছে, যাঁরা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বোমা, বন্দুক ও শেল তৈরিতে পটু, তাঁরা রাহুল গান্ধীর কথার প্রশংসা করেছেন। দেশের শত্রুরা যাঁরা উড়োজাহাজ–ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, রাস্তা গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁরা রাহুল গান্ধীর পক্ষে। রাহুল গান্ধী দেশের ১ নম্বর সন্ত্রাসী। দেশের সবচেয়ে বড় যে শত্রুকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ধরা উচিত, তিনি হলেন রাহুল।

এদিকে রবনীত সিংয়ের বিতর্কিত এসব মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মানুষদের আমরা শুধু করুণা করতে পারি। কংগ্রেসে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ছিল জগাখিচুড়ির মতো। দলে থাকার সময় তিনি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করতেন। এখন কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছেন।’

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে রাহুল গান্ধী শিখ সম্প্রদায় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রথমেই বুঝতে হবে লড়াইটা কী নিয়ে। রাজনীতি নিয়ে লড়াইটা নয়।...লড়াই হলো, একজন শিখকে ভারতে পাগড়ি পরার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তিনি ‘কাদা’ (হাতের এক ধরনের বালা) পরতে পারবেন কি না বা গুরুদুয়ারায় যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে। লড়াইটা শুধু শিখদের জন্য নয়; বরং সব ধর্মের জন্য।

এ সময় ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে রাহুল বলেন, নির্বাচনের পর কিছু পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম, আয়কর বিভাগ ভয় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনটি ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তবে কোনো কিছুই কাজে লাগেনি। নির্বাচনের পর এক সেকেন্ডেই সব ভয় উধাও হয়ে গেছে।