ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা দুজনই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা। নির্বাচনী হিংসার জের ধরে এ সময় কোথাও বিরোধী দলের দপ্তর ভাঙচুর হয়েছে। হামলা হয়েছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর।
গতকাল রোববার রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় বাড়ি ফেরার পথে এক তৃণমূল নেতা খুন হন। তাঁর নাম সনাতন ঘোষ। একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
অপর দিকে গতকাল রাতে উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গায় তৃণমূল-আইএসএফের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দেগঙ্গার পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের এক নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইএসএফের চারজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন উত্তর চব্বিশ পরগনার বরাহনগরের কুটিঘাট এলাকায় সিপিএমের দপ্তর ভাঙচুর করেন তৃণমূল সমর্থকেরা। এ ছাড়া কলকাতার নিউ টাউনে বিজেপির এক নেতার বাড়িতে হামলা করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে বিজেপির নেতাদের বাড়িতে হামলা চালান তৃণমূলের একদল কর্মী-সমর্থক। বারাকপুরে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের এলাকায় বিজেপির সমর্থকদের ওপরও হামলা করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া কোচবিহারের নাটাবাড়ি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পরদিন উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামে বিজেপির সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করেছে তৃণমূল আশ্রিত সন্ত্রাসীরা। এখানে বিজেপির সমর্থকদের মারধরও করা হয়। পুলিশকে খবর দিলে তারা আসে। আবার ফিরে যায়। কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ে ভোট গণনা কেন্দ্রের কাছে থাকা সিপিএমের কার্যালয়ও ভাঙচুর হয়েছে ফল ঘোষণার দিন। সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে এ সময় লাঞ্ছিত করা হয়।