গত শনিবার বিকেলে পশ্চিম ত্রিপুরার রক্তিয়া বলে একটি গ্রামে কয়েকটি এসইউভি গাড়ি নিয়ে ঘুরছিলেন অঞ্চলের বিজেপি প্রার্থী তড়িৎ দেববর্মণ। ২০-২৫ জন পুরুষ-নারীকে গ্রাম থেকে বার করে আনলেন বিজেপির কর্মীরা দেববর্মণের পথসভায় যাওয়ার জন্য। আমি ও আমার সঙ্গী স্থানীয় সাংবাদিক বিষ্ণু দেবনাথের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে গাড়ি নিয়ে দেববর্মণ ঢুকে পড়লেন তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র মান্দাইয়ের আরও গভীরে। গ্রামের লোকজন তাঁর সঙ্গে চলে যাওয়ার পর দেখলাম, মোটরবাইকে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি—গৌতম রূপিণী। তিনি বললেন, তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত মান্দাই কেন্দ্রের ভোট বিজেপি বিশেষ পাবে না।
গৌতম রূপিণীর ব্যাখ্যা, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে স্বশাসিত আদিবাসী অঞ্চলে মানুষ উদ্বেগে রয়েছেন। খোলাখুলি আপনাকে কেউ কিছুই বলবে না। মানুষের নানা ধরনের বাধ্যবাধকতা থাকে। যেমন আমার ভাই কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করে। কিন্তু তাতে উদ্বেগ তো আর কমছে না।
এই উদ্বেগ ঐতিহাসিক ও জটিল। এর গোড়ায় রয়েছে মূলনিবাসী ত্রিপুরার সম্প্রদায়সহ উপজাতীয় সমাজের সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়ার গল্প। ১৯০১ সালের জনশুমারিতে যেখানে উপজাতির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫৩ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে জনসংখ্যার মোটামুটি এক-তৃতীয়াংশ বা ৩০ শতাংশ আদিবাসী। অর্থাৎ তারা সংখ্যালঘু। নব্বইয়ের দশকে ত্রিপুরায় জঙ্গি আন্দোলনের প্রধান কারণ। সেই আন্দোলনই যেন ফিরে এসেছে পার্বত্য চট্টগ্রামঘেঁষা ত্রিপুরার আদিবাসী অঞ্চলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় তিপ্রা মথার হাত ধরে।
এর প্রধান কারণ ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইন সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট বা সিএএ। বিষয়টা অস্বীকার করলেন না সিপিআইএমের দীর্ঘদিনের আদিবাসী নেতা, স্বশাসিত আদিবাসী পরিষদের সাবেক মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য এবং মান্দাই আসনের প্রার্থী রাধাচরণ দেববর্মা।
রাধাচরণ দেববর্মা বলেন, ‘তিপ্রা মথার এই বৃহত্তর তিপ্রা রাজ্যের দাবি কতটা যৌক্তিক বা অযৌক্তিক, তার থেকেও বড় কথা হলো, বিজেপি জনজাতি মানুষের পুরোনো ভয় ফিরিয়ে এনেছে। তাঁরা এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন এখন সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়েছেন। বিজেপি সিএএ আইনের মাধ্যমে এই আশঙ্কা ফিরিয়ে এনেছে যে এবার তাঁরা হারিয়ে যেতে পারেন।’
বাঙালি শরণার্থীর সংখ্যা রাতারাতি বেড়ে যাওয়ার জেরে এ হারিয়ে যাওয়ার ভয় থেকেই সত্তরের দশকে তৈরি হয়েছিল ত্রিপুরা উপজাতি যুব সমিতি। এরপর প্রায় প্রতিটি দশকে একটি করে জনজাতির দল উঠে এসেছে ত্রিপুরায়। প্রথমে এককভাবে এবং এরপর একটি প্রধান মূল স্রোতের দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তারা নির্বাচনে লড়ে ক্ষমতায় এসেছে। সাধারণভাবে ক্ষমতায় আসার বছরের মধ্যে দলটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় এবং তার জায়গা নেয় অপর একটি নতুন উপজাতীয় দল। এটা অনেক পার্বত্য অঞ্চলে ঘটে, যেমন দার্জিলিং।
গত বিধানসভা নির্বাচনেও উপজাতীয় দল ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় এসেছে। এরপর তারা ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে এবং গত দুই বছরে তাদের জায়গা নিয়েছে তিপ্রা মথা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরার রাজপরিবারের প্রধান মহারাজা প্রদ্যুৎ দেববর্মণ জনজাতিদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠনের ডাক দিয়ে তিপ্রা মথা নামের জোট গঠনের পর কয়েক মাসের মধ্যে দলটি স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের নির্বাচনে জেতে বিজেপির শরিক ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্টকে হারিয়ে।
তিপ্রার উত্থানে চাপ বাড়ছে অন্য দলের
তাদের দ্রুত উঠে আসা একাধারে বিজেপি এবং অন্য দিকে বাম ফ্রন্টকে যে চাপে রেখেছে, তা বোঝা যায় নির্বাচনী ইশতেহার দেখে। আদিবাসীদের জন্য তিপ্রা মথার পৃথক এবং বৃহত্তর রাজ্য গঠনের দাবিকে না মেনেও কার্যত ইশতেহারে তা মেনে নিয়েছে বিজেপি। তারা লিখেছে, ‘১২৫তম প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনী বিলের কাঠামোর মধ্যে টিটিএএডিসিকে (ত্রিপুরার স্বশাসিত আদিবাসী পরিষদ) আমরা বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন (দেব) এবং অতিরিক্ত আইনি, কার্যনির্বাহী, প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের জন্য পুনর্গঠন করব।’ অর্থাৎ, কার্যত তিপ্রা মথার বৃহত্তর ক্ষমতার দাবিকেই বিজেপি মেনে নিয়েছে।
আর মান্দাই কেন্দ্রে বাম ফ্রন্টের প্রতিনিধি রাধাচরণ দেববর্মা খোলাখুলি বলেন, স্বশাসিত আদিবাসী পরিষদকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, তা অতি প্রাচীন এবং প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার করে আদিবাসীদের হাতে আরও ক্ষমতা না দিলে ভবিষ্যতে বিপদ বাড়বে। সেই লক্ষ্যে তারা যে কাজ করবেন, এমনটা পোস্টারে লিখে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটছেন সিপিআইএমের কর্মীরা। সেই পোস্টারে লেখা প্রথম প্রতিশ্রুতিটি প্রায় বিজেপির দেওয়া প্রথম প্রতিশ্রুতিটির মতোই।
বাম ফ্রন্ট লিখছে, ‘১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিলে—উপজাতিদের জমি, ভাষা, অর্থনৈতিক—সামাজিক- সাংস্কৃতিক ও উপজাতিদের জনজীবনের জন্য সংবিধানের সর্বোচ্চ ক্ষমতার দাবি নিয়ে জোরদার লড়াই করা হবে। তিপ্রা মথার উত্থান না হলে সংবিধান সংস্কার করে আদিবাসীদের আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার ইচ্ছা মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলো ত্রিপুরায় প্রকাশ করত কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
বস্তুত ত্রিপুরায় সিপিআইএম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী খোলাখুলিই প্রথম আলোকে বলেন, তিপ্রা মথার সঙ্গে মৌলিক ইস্যুতে তাঁদের কোনো ফারাক নেই। ‘শুধু একটাই ইস্যুতে আমাদের মতপার্থক্য আছে। সেটা হলো গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড মানে নতুন অঞ্চল তৈরি করা বা (রাজ্য) বিভাজনের তাদের যে দাবি, তা আমরা সমর্থন করি না। অন্যান্য ইস্যুতে, যেগুলোর মধ্যে সামাজিক বিষয় আছে, উন্নয়ন আছে, চাকরির ইস্যু আছে, সেসব নিয়ে তো তাদের সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য নেই।’
কিন্তু সমাজ ও রাজনীতি অত সরল অঙ্কে চলে না। একটি প্রধানতম আদিবাসী দলের উত্থান হলো এবং সঙ্গে সঙ্গে বাকি দল উপজাতিদের যাবতীয় অধিকার মেনে নিল, এমনটা যদি হতো, তাহলে ভারতের সঙ্গে উদার গণতন্ত্রের খুব বেশি ফারাক থাকত না।
কিন্তু ভারতের, বিশেষত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনীতি অত্যন্ত জটিল। ত্রিপুরায় আদিবাসীদের পক্ষ নিয়ে কোনো কথা বলা হলে সঙ্গে সঙ্গে যে তার প্রভাব সমতলে অনুপজাতিদের ওপরে, বিশেষত বাঙালিদের ওপরে পড়বে তা বলাই বাহুল্য। যেহেতু কয়েক দশক ধরে ত্রিপুরায় অনুপজাতিদের সংখ্যাই বেশি (৭০ শতাংশ), তাই যেকোনো রাজনৈতিক দল আগে তাদের কথা ভাববে, এটাই স্বাভাবিক।
নির্বাচনে বাঙালি-আদিবাসী রাজনীতির নানা দিক
গত ৭২ ঘণ্টার ত্রিপুরা সফরে সমতলের বাঙালিদের এই আবেগের জায়গাটাই ধরার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী তিপ্রা মথার নাম না করে বলেছেন, আদিবাসীদের দল পেছন থেকে বাম ফ্রন্ট-কংগ্রেসের জোটকে সমর্থন করছে। আর এর থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে অমিত শাহ রোববার জনসভায় বলেছেন, ‘কংগ্রেস এবং সিপিআইএম আদিবাসীদের জন্য কিছুই করেনি। আর এখন আদিবাসীদের ভোট পেতে একজন আদিবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে তুলে ধরেছে।’ তাঁর ইঙ্গিত ছিল, সিপিআইএম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর দিকে, যিনি একজন আদিবাসী নেতা।
বিজেপির নাম না করে তাদের এই অবস্থানকে আবার পাল্টা আক্রমণ করেছেন তিপ্রা মথার নেতা প্রদ্যুৎ দেববর্মণ। রোববারের জনসভায় তিনি বলেন, ‘বাঙালি-আদিবাসী, হিন্দু-মুসলমান—এসব ভেদাভেদ আসলে নেই ত্রিপুরায়। নেতারা এই বিভেদ তৈরি করছেন নিজেদের স্বার্থে।’ বাঙালি-আদিবাসী এই ভেদাভেদ আসলে নির্বাচনের সময় আরও একটু সামনে চলে আসে বলে মন্তব্য করলেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে আগরতলার এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।
ওই সাংবাদিক বলেন, ‘এটা অনেকটাই পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু-মুসলমান রাজনীতির মতো, যেটা কিছুটা ভেতরে-ভেতরে থাকলেও সব সময় বোঝা যায় না। কিন্তু নির্বাচন চলে এলে একধরনের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গে কয়েক বছর ধরে সামনে চলে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের যেমন রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ মুসলমান, ঠিক একইভাবে ত্রিপুরা এক-তৃতীয়াংশ আদিবাসী। তবে এখানকার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের একটা বড় তফাত হলো, ত্রিপুরা আদিবাসীদের রাজ্য যা গত ৫০ বছরে বাঙালিদের হয়ে গিয়েছে। এটা নিয়ে একটা ক্ষোভ এখানে আদিবাসীদের আছে এবং সেই ক্ষোভ আশঙ্কায় পরিণত হয়েছে সিএএ আসার ফলে।’ একই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, বাম ফ্রন্ট কংগ্রেসের জোটকে পেছন থেকে কিছুটা যে মদদ তিপ্রা মথা দিচ্ছে না, এমনটা আবার বলা যাবে না। জিতেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাব্রুমে কোনো প্রার্থী দেয়নি তিপ্রা মথা, যদিও সেখানে একটা বড় আদিবাসী ভোট রয়েছে। মান্দাইয়েও সিপিআইএমের বিরুদ্ধে একজন দুর্বল প্রার্থী দিয়েছে তিপ্রা। যেহেতু বাম-কংগ্রেস ও তিপ্রা মথা উভয়েই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে, তাই তারা স্বাভাবিকভাবেই কাছাকাছি চলে আসছে বলে অবশ্য মনে করেন না জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিপ্রা মথা প্রকাশ্যে বলেছে যে ভোট ভাগ হয়ে যেন বিজেপির সুবিধা না হয়। কিন্তু তারা সেটা বললেও তার জন্য একটা সমঝোতা করা দরকার। সেটা তিপ্রা মথা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত করতে পারেনি। এটা হলে ভালোই হতো।
এরপরও প্রধানত আদিবাসী অঞ্চলে এবং কিছুটা সমতলের অনুপজাতি এলাকায় বিজেপি যে কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে, তার কারণ ওই নাগরিকত্ব আইন। শুধু ত্রিপুরা নয়, গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলেই আদিবাসীরা মনে করেন, এই আইন বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী শরণার্থী বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাইরের শরণার্থীরা নাগরিক হিসেবে বসবাসের অধিকার পাবেন। কিরণ পাল সিং বিজেপির উত্তর প্রদেশের এক পর্যবেক্ষক। যিনি মান্দাই কেন্দ্রে প্রার্থী তড়িৎ দেববর্মার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন, তিনি এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, আদিবাসীরা অত্যন্ত সরল মনের মানুষ। তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। একটা বিভেদ সৃষ্টি করে ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আর বিজেপি প্রার্থী নিজে বিষয়টা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না। ‘সিএএ একটা জাতীয় ফ্যাক্টর। আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব ও কেন্দ্র সরকার বিষয়টা দেখবে। এ ছাড়া সিএএ একসময় একটা ইস্যু ছিল। আজ এটা কোনো ইস্যু নয়। আজ ইস্যু হলো উন্নয়ন। মানুষ উন্নয়ন চায়, আর বিজেপি আমাদের বলেছে, বৃহত্তর আদিবাসী পরিষদ তৈরি করা হবে। এর ফলে উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে। সিএএ কোনো ইস্যু নয়,’ বললেন তড়িৎ দেববর্মা।
নির্বাচনের তিন দিন আগে প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে খুব স্বস্তিতে বিজেপি নেই। যেসব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসে, সেখানে পাঁচ বছরের মধ্যে সাধারণত তারা এমন অবস্থায় পৌঁছায় না, যখন তারা হেরেও যেতে পারে। কিছুটা হলেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ত্রিপুরায়। এখানে যদি বিজেপি হেরে যায়, তবে সেটা হবে একটা ইতিহাস। একদিকে বাম ফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস এবং অন্যদিকে নতুন উপজাতীয় দলের অবিশ্বাস্য উত্থানের ইতিহাস।
সেই ইতিহাস যদি রচিত হয়, তবে ভারতের রাজপরিবারের ইতিহাসেও মহারাজ প্রদ্যুৎ দেববর্মণের নামও স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেবে। কারণ, বিজেপিকে হারানোর কৃতিত্ব অনেকটাই পাবেন তিনি বিশেষত মাত্র বছরখানেকের মধ্যে একটি নতুন দলকে দাঁড় করিয়ে ফেলার কারণে।