ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ কোটা–সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। বিজেপিশাসিত কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
মুসলমানদের বাতিল করা কোটা দুটি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে। আগে চাকরি ও শিক্ষায় ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের মানুষের ৫ শতাংশ কোটা ছিল। এখন সেটি বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের কোটাও ২ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
কোটা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোটার ‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণি’ থেকে সরিয়ে মুসলমানদের ‘অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগে’ নেওয়া হয়েছে। আর পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে নতুন করে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—বেশি পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ও সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি।
এ বিষয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোটার বিভিন্ন ধরনে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদের একটি উপকমিটি। আমরা সেই সুপারিশের অনুমোদন দিয়েছি।’
কোটা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোটার ‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণি’ থেকে সরিয়ে মুসলমানদের ‘অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগে’ নেওয়া হয়েছে। আর পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে নতুন করে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—বেশি পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ও সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি।
আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোটার বিভিন্ন ধরনে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদের একটি উপকমিটি। আমরা সেই সুপারিশের অনুমোদন দিয়েছি।বাসবরাজ বোম্মাই, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে মুসলমান, ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় ছাড়াও কর্ণাটকে চাকরি ও শিক্ষা কোটায় আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। রদবদলের ফলে রাজ্যটিতে মোট কোটার হার বেড়েছে। কর্ণাটক সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, মোট কোটা ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। তবে রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৫৭ শতাংশ কোটা–সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।