ভারতের ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৩৩ জন নিহত হয়েছেন। তথ্য বলছে, গতকাল শুক্রবারের এ দুর্ঘটনা দেশটির ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
স্বাধীনতার পর ভারতের কয়েকটি বড় রেল দুর্ঘটনা—
৬ জুন ১৯৮১: সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে বিহার রাজ্যে। বাগমতি সেতু পার হওয়ার সময় একটি ট্রেন নদীতে পড়ে যায়। এতে সাড়ে সাত শতাধিক মানুষের প্রাণ যায়।
২০ আগস্ট ১৯৯৫: উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা কালিন্দি এক্সপ্রেস ট্রেনকে ধাক্কা দেয় পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ট্রেন। সরকারি হিসাবে এ দুর্ঘটনায় ৩০৫ জনের প্রাণহানি কথা বলা হয়েছিল।
২৬ নভেম্বর ১৯৯৮: পাঞ্জাবের খান্না এলাকায় গোল্ডেন টেম্পল মেইল ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ অবস্থায় পেছন থেকে এসে ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয় জম্মু তাবি–শিয়ালদহ এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে নিহত হন ২১২ জন।
২ আগস্ট ১৯৯৯: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের গাইসালে অবধ আসাম এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা ব্রহ্মপুত্র মেইল ট্রেনে সজোর ধাক্কা দেয়। এতে ২৮৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন তিন শতাধিক মানুষ। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য।
২০ নভেম্বর ২০১৬: উত্তর প্রদেশের পুখরায়ানে ইন্দোর–রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে প্রাণ হারান ১৫২ জন। আহত হন ২৬০ জন।
২৮ মে ২০১০: পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে মুম্বাইগামী জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পণব্যাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন ১৪৮ যাত্রী।
৯ সেপ্টেম্বর ২০০২: বিহার রাজ্যের রফিগঞ্জে ধাবে নদীর সেতুর ওপর রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এতে ১৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। সন্ত্রাসীদের নাশকতায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ আছে।
২৩ ডিসেম্বর ১৯৬৪: তামিলনাড়ুতে রামেশ্বরম ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে পাম্বান–ধানুস্কোদি যাত্রবাহী ট্রেন। এতে প্রাণ যায় ১২৬ জনের বেশি যাত্রীর।