লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর প্রদেশের বারানসিতে রোড শো চলাকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাড়িতে কেউ কি জুতা ছুড়েছিল? বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাব্যবস্থা ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে।
তবে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বারানসিতে মোদির গাড়ির ওপর ঠিক কী পড়েছিল, তা নির্দিষ্ট করে কারও জানা নেই।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অবশ্য বলেছেন, ওই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে মানুষের ভয় কেটে গেছে।
রাহুল বলেন, ভোটের আগে এমন করার সাহস কেউ পেতেন না। মানুষের মনে এতটাই ভয় ছিল। মার্কেটিং ও ভয়, এটাই হলো মোদির গুজরাট মডেল। এর ওপরই তিনি নির্ভরশীল ছিলেন। সেই ভয় ভোটের পর কেটে গেছে।
রাহুল বলেন, ‘এখন কেউ আর মোদিকে ভয় পাচ্ছেন না। তাঁকে নিয়ে মানুষ ঠাট্টা–তামাশা শুরু করছে। আগে নাকি তাঁর বুকের ছাতি ৫৬ ইঞ্চি ছিল। এখন ঠিক কত, বলতে পারব না। হয়তো ৩০–৩২ ইঞ্চি হয়ে গেছে।’
মোদির গাড়ির ওপর পড়া বস্তুটি কী, তা কেউ জানে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ছবি ঘোরাফেরা করছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মোদির গাড়ির নিরাপত্তারক্ষী চলন্ত গাড়ির বনেটের ওপর থেকে কিছু একটা তুলে ফেলে দিচ্ছেন। গাড়ির সামনের আসনে প্রধানমন্ত্রী বসে আছেন।
ছবিতে স্পষ্ট বোঝা না গেলেও কারও কারও দাবি, ওটা এক পাটি চপ্পল, কেউ বা মনে করছেন, সেটা ফুলের মালাও হতে পারে। যদিও বস্তুটিকে ফুলের মালার মতো মনে হয়নি। রাজ্য পুলিশের এক কর্তার আবার দাবি, ওটা নাকি ছিল একটা মুঠোফোন। অবশ্য বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, বস্তুটি চপ্পল।
‘নিট’ ও ‘নেট’ পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধীও বলেছেন যে সেটি চপ্পল ছিল। পরীক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল বলেন, নীরব, কেননা তিনি পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাঁর এখন একটাই চিন্তা, লোকসভার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে। সরকার টিকিয়ে রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে। উনি মানসিকভাবে চুরচুর করে ভেঙে পড়েছেন। তাঁর যা মানসিকতা, তাতে এইভাবে সরকার চালানো অসম্ভব।
এরপরই রাহুল বলেন, মোদি সরকার চালাতেন ভয়কে হাতিয়ার করে। কিন্তু এখন আর মানুষ তাঁকে ভয় পাচ্ছে না। বারানসির চপ্পলকাণ্ড সেটির প্রমাণ। ভোটের আগে ভয়ের কারণে এই সাহস কেউ পেত না। সেই ভয় এখন কেটে গেছে। তা ছাড়া অন্য সমস্যাও আছে। দলের মধ্যে সমস্যা আছে। সংঘে আছে।
রাহুল বলেন, নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে যে ধারণা ছিল, যে ভাবমূর্তি ছিল, বিরোধীরা তা চুরমার করে দিয়েছে। মানুষের ভয় তাই কেটে গেছে। তিনি চিন্তায় আছেন।