কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ঘোষণামতো বিচারপতির পদ থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। ইস্তফা দিয়ে আজ ঘোষণা দিয়েছেন, দুর্নীতির আখড়া পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির হাত থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কারণ, বিজেপিই মমতার সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছে। এবার তার লক্ষ্য হবে তৃণমূলের দুর্নীতির হাত থেকে রাজ্যকে রক্ষা করা।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ বলেছেন, সাত দিনের মধ্যে বিজেপির সঙ্গে কথা হবে। তৃণমূল এ রাজ্যে আর বেশি দিন নেই। রাজ্যের শাসক দলের চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএমে যোগ দেব না। কারণ, আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। ৭ মার্চ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেব। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আমাকে প্রার্থী করলে আমি সেই আসনে লড়ব। বিজেপিই একমাত্র দল, যারা তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছে।’
পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর সন্দেশখালী-কাণ্ডে এবার তদন্ত করবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আজ বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যে সন্দেশখালীর ত্রাস শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। শাহজাহান এখন সিআইর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কলকাতার সিআইডি পুলিশের হেডকোয়ার্টার ভবানী ভবনে আছেন।
গত ৫ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের রেশন দুর্নীতির কাণ্ডের তদন্তে ইডির কর্মকর্তারা সন্দেশখালীর শেখ শাহজাহানের বাসভবনে তল্লাশি করতে গেলে শাহজাহানের বাহিনী ইডির কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ইডির ৩ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন। পালিয়ে যান শেখ শাহজাহান। শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখল, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও অপহরণের প্রতিবাদে আন্দোলন তীব্র হলে ৫৬ দিন পর পুলিশ গ্রেপ্তার করে শেখ শাহজাহানকে।