ভারতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ জোটের নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার ৭২ সদস্যের মধ্যে ২৮ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া দুই প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) ও ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচের এক যৌথ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ জনের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনসহ গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। শান্তনু ঠাকুর ও সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে। পাঁচ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে ঘৃণামূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ। এই পাঁচ মন্ত্রীর মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিং অন্যতম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার ৭২ সদস্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭১ জন হলফনামা দিয়েছেন।
এই ৭১ জনের মধ্যে ৭০ জনেরই অন্তত ১ কোটি রুপি রয়েছেন। ছয়জনের সম্পদের পরিমাণ ১০০ কোটি রুপির বেশি। এই ছয়জনের মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্র শেখর পেমাসানির সম্পদ সবচেয়ে বেশি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৭০৫ কোটি রুপি। মধ্যপ্রদেশ থেকে নির্বাচিত বিজেপি প্রার্থী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সম্পদের পরিমাণ ৪২৪ কোটি রুপি। জনতা দলের (সেক্যুলার) এইচ ডি কুমারস্বামীর সম্পদের পরিমাণ ২১৭ কোটি রুপি। বিজেপির অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাও ইন্দারজিৎ সিং ও পীযূষ গোয়েলের সম্পদের পরিমাণ যথাক্রমে ১৪৪ কোটি, ১২১ কোটি ও ১১০ কোটি রুপি।
যৌথ প্রতিবেদনটিতে আরও উঠে এসেছে, এবারের মন্ত্রিসভার ১১ জন কেবল উচ্চমাধ্যমিক পাস, স্নাতক পাস ১৪ জন, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে ২৬ জনের। ডক্টরেট ডিগ্রি আছে ৭ জনের।
অন্যদিকে মোদির এই মন্ত্রিসভায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মন্ত্রী আছেন মাত্র দুজন। ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী মন্ত্রী আছেন ৭ জন। আর ৫১ থেকে ৭০ বছর বয়সী মন্ত্রী আছেন ৪৭ জন। ১৫ জন মন্ত্রী বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।