ভারত প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। গতকাল শনিবার ওডিশার আবুল কালাম দ্বীপ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আজ রোববার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি একটি অস্ত্র। এগুলো বায়ুমণ্ডলের খুব নিচ দিয়ে উড়ে যেতে পারে। রাডারে শনাক্ত করাও সাধারণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় কঠিন। এ ছাড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং প্রয়োজন পড়লে মাঝপথে লক্ষ্য পরিবর্তনও করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এ তালিকায় এবার নাম লেখাল ভারত। আজ বিবৃতিতে রাজনাথ সিং বলেন, ‘দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সফলতার মধ্য দিয়ে বড় একটি মাইলফল অর্জন করেছে ভারত।’
কিছুদিন আগে এক প্রদর্শনীতে নিজেদের অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো সামনে এনেছিল চীন। গোপনে হামলা চালাতে সক্ষম জে–৩৫এ যুদ্ধবিমান এবং হামলার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ড্রোন সেখানে প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো সামনে আনা হয় এইচকিউ–১৯ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও হাইপারসনিক আকাশযান ধ্বংস করতে এইচকিউ–১৯–এর নকশা করা হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করেছে নয়াদিল্লি। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াড জোটেও রয়েছে দেশটি। এ ছাড়া রাশিয়ার অস্ত্রের বড় ক্রেতা ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকি থাকার পরও রাশিয়া থেকে কয়েক শ কোটি ডলারের এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনেছে তারা।