উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গত দুই দিনে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে এখনো দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ‘লাল সতর্কতা’ জারি রেখেছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। রাজ্যের ধলাই ও গোমতী জেলায় ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ত্রিপুরায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। এ কারণেই সেখানকার বিভিন্ন জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যদিও সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ত্রিপুরার বন্যাকবলিত এলাকাগুলো থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষকে রাজ্যের ৫২৫টি আশ্রয়শিবিরে রাখা হয়েছে। সরকারি হিসাবে, বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার আশপাশে। তবে বেসরকারি কিছু পরিসংখ্যান বলছে, এই ক্ষতি ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় বন্যার্তদের উদ্ধার, তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজের জন্য ১১টি দল পাঠানো হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীও উদ্ধারকাজে নেমেছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্যের অনেক জায়গায় এখনো নতুন করে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে খুব বেশি মাত্রায় বৃষ্টির আশঙ্কা এখনই করা হচ্ছে না। রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।