ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখার্জি। গত সপ্তাহে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ কোটি রুপি জব্দ করে দেশটির আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। এ ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় অর্পিতা। খবর এনডিটিভির।
পশ্চিমবঙ্গে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গি জড়িত অভিযোগে গত শুক্রবার অর্পিতাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরদিন শনিবার পার্থকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অর্পিতা ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলা ও ওডিশি চলচ্চিত্রশিল্পে সক্রিয় ছিলেন। তিনি মডেলও ছিলেন।
কলকাতার উত্তরের শহরতলি বেলঘরিয়ায় একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অর্পিতা। তিনি কলেজজীবন থেকেই মডেলিং শুরু করেন।
বাবার মৃত্যুর পর অর্পিতা রাজ্যের ঝাড়গ্রাম জেলার এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। পরে অর্পিতা কলকাতায় ফিরে আসায় তাঁর এই বৈবাহিক সম্পর্ক বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায় না।
২০০৮ সালে চিত্রনায়ক জিতের সঙ্গে ‘পার্টনার’ ছবিতে অভিনয় করেন অর্পিতা। ২০০৯ সালে তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘মামা-ভাগনে’ ছবিতে অভিনয় করেন।
২০১৯ ও ২০২০ সালে অর্পিতা কলকাতার নাকতলা উদয়ন সংঘের পূজার প্রচারণার মুখ ছিলেন। এটি কলকাতার অন্যতম বড় দুর্গাপূজা কমিটি। নাকতলা উদয়ন সংঘের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন পার্থ।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ। তিনি আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে তিনি ও তাঁর সহযোগীরা ঘুষ নিয়ে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।
ইডি জানায়, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ ও পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির তদন্তের সূত্রে তারা বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। অভিযানে বিপুল অর্থ জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়ার সময় অর্পিতা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। বলেন, এটা বিজেপির একটা চক্রান্ত।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ দাবি করেন, এখন পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এক নারীর (অর্পিতা) বাড়িতে অর্থ পাওয়া গেছে। ওই নারীর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।