বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি বিপুল ধনসম্পদের মালিক হলেও তিনি খুব সাদাসিধে জীবন যাপন করতে পছন্দ করেন। অনেকেই হয়তো জানেন না যে আম্বানি নিরামিষভোজী। অত্যন্ত নিয়মমাফিক খাবার খান তিনি।
আম্বানি ডিম খান। তবে কোনো ধরনের মাংস খান না। অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ও পান করেন না। ১৯৭০-এর দশকে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীনও তিনি তাঁর খাবারের ব্যাপারে বিশেষ সচেতন ছিলেন।
এ ধনকুবের ডাল, চটপটি ও ভাতের মতো সাধারণ খাবারগুলো খেতে পছন্দ করেন। থাই খাবারও পছন্দ করেন তিনি।
আম্বানি নতুন নতুন জায়গায় নতুন নতুন খাবার খেতে ভালোবাসেন। তিনি বড় ধরনের ক্যাফেতে যেমন যান, তেমনি আবার রাস্তার পাশের ছোট্ট দোকানে খেতেও সংকোচ বোধ করেন না।
সাধারণত রোববার তাঁর সকালের নাশতার মধ্যে ইডলি-সাম্বার থাকে। তাঁর স্ত্রী নিতা আম্বানি একবার বলেছিলেন, মুকেশ যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, রাতের খাবারটা পরিবারের সঙ্গে খেয়ে থাকেন তিনি।
মুকেশ আম্বানির দৈনন্দিন জীবনে তাঁর পাচকের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ধনকুবেরের পাচকেরা কত বেতন পান, তা নিয়ে কৌতূহল জন্মাতেই পারে।
এবার তাঁর পাচকদের সম্পর্কে খানিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক—
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানির মুম্বাইয়ের বাড়িতে নিযুক্ত পাচক প্রতি মাসে ২ লাখ রুপি করে বেতন পান। এটাই শেষ নয়, মুকেশ আম্বানির অধীন থাকা কর্মীরা বিমা সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচও জোগানো হয় আম্বানিদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। এমনকি, কর্মচারীদের সন্তানেরা যাতে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হয়।