ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ নেওয়া পর্যন্ত রাজধানী নয়াদিল্লিতেই থাকতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। একাধিক সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য দিয়েছে।
প্রথমে বলা হয়েছিল, মোদির নতুন সরকার ৮ জুন (শনিবার) নিতে পারে। এখন বলা হচ্ছে, শপথ গ্রহণ পিছিয়ে যেতে পারে। আগামী রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যা ছয়টায় মোদি নতুন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন।
বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নীতীশ। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার আশা করছেন।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা করা হয় ৪ জুন। ক্ষমতাসীন বিজেপি এককভাবে ২৪০ আসন পেয়েছে। সরকার গঠনের জন্য দরকার ২৭২ আসন। ফলে দলটি এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না। ভোটে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট মোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। জোট সরকার গঠনে মোদি ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ৯৯ আসন। কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’ জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন।
বুধবার সকালে বিদায়ী মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মোদি। এই বৈঠকে মোদিকে আবার সরকার গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এনডিএ জোটের বৈঠক হয়। বৈঠকে যোগ দিতে বিহার থেকে নয়াদিল্লিতে আসেন বিহারের জনতা দলের (সংযুক্ত-জেডিইউ) প্রধান নীতীশ। বৈঠকে আরও অংশ নেন অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুসহ জোটের অন্য নেতারা। বৈঠকে তাঁরা মোদিকে জোটের নেতা ঠিক করেন।
শরিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মোদি ৭ জুন রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে নতুন সরকার গঠনের দাবি পেশ করবেন।
লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটের টিডিপি ১৬ আসন পেয়েছে। আর জেডিইউ পেয়েছে ১২ আসন।
নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে জোটের নেতাদের সঙ্গে, বিশেষ করে জেডিইউর নীতীশ ও টিডিপির নাইডুর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবে বিজেপি। সূত্র বলছে, টিডিপি লোকসভায় স্পিকার পদটি চাইছে। তবে এ ব্যাপারে বিজেপি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।