আন্না হাজারে ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল (ডানে)
আন্না হাজারে ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল (ডানে)

কেজরিওয়াল ‘কৃতকর্মের ফল’ পেয়েছে: আন্না হাজারে

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাঁর সাবেক আদর্শিক গুরু ও প্রবীণ সমাজকর্মী আন্না হাজারে বলেছেন, ‘তিনি (কেজরিওয়াল) তাঁর কৃতকর্মের ফল পেয়েছেন।’

দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ, মহারাষ্ট্রের সাবেক এই সমাজকর্মী আন্না হাজারে কেজরিওয়ালের কর্মকাণ্ডে বিরক্তি প্রকাশ করেন।

আন্না হাজারে বলেন, তাঁরা মদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। আর এখন তিনি (কেজরিওয়াল) এর জন্য একটি নীতি প্রণয়ন করলেন। তিনি বলেন, ‘আমি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর খুবই বিরক্ত। তিনি আমার সঙ্গে মদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। আর এখন মদ নিয়ে নীতি প্রণয়ন করছেন। তিনি যে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এটা তাঁর কর্মফল।’

২০১০ সালের শুরুর দিকে কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের সময় দেশে দুর্নীতি রোধে লোকপাল আইন পাসের দাবিতে আন্না হাজারে ও কেজরিওয়াল একসঙ্গে বেশ কয়েক দফায় আমরণ অনশন করেছেন। দুই নেতার পেছনে লাখো মানুষ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভ শেষ হওয়ার পর কেজরিওয়াল ও অলাভজনক ইন্ডিয়া এগেইনস্ট করাপশনের কয়েক সদস্য মিলে আম আদমি পার্টি (এএপি) গঠন করেন।

ইডি সদস্যরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে তাদের সদর দপ্তরে নিয়ে যায়

তবে আন্না হাজারে যিনি সব সময় এই আন্দোলনের গায়ে যাতে রাজনৈতিক তকমা না লাগে, সেই চেষ্টা করে গেছেন, তিনি কেজিওয়ালের এএপি গঠনের বিষয়টিতে খুশি হননি।

দিল্লির আবগারি (মদ) নীতিসংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত নভেম্বর থেকে ৯ দফায় কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল ভারতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে তিনি সেসব সমনে হাজির হননি।

গত সোমবার গ্রেপ্তার এড়াতে আইনি সুরক্ষা চেয়ে কেজরিওয়াল দিল্লির হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। ওই দিনই তা খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল।

গতকাল যখন ইডি সদস্যরা কেজরিওয়ালের বাড়িতে ঢুকে , তখন বাইরে ছিল পুলিশ সদস্যরা ছিলেন সতর্ক অবস্থানে

গতকাল রাতে ইডির ১০ কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরিওয়ালের বাসভবনে যান। দুই ঘণ্টার তল্লাশির পর সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আম আদমির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কেজরিওয়াল তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না এবং কারাগার থেকেই সরকার চালাবেন তিনি। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কেজরিওয়ালের পরিবারকে ‘গৃহবন্দী’ করে রেখেছে।

এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কেজরিওয়ালের পদত্যাগ দাবি করেছে।