‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় শামিল হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মান্ডিয়া জেলায় পুত্র রাহুলের সঙ্গে কিছুটা পথ হাঁটেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে হাঁটেন রাজ্য কংগ্রেসের নেতারাসহ বহু মানুষ। এই যাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য সোনিয়া গত সোমবার রাতে মাইশুরু (সাবেক মহিশূর) পৌঁছান। দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমীর জন্য গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার যাত্রার বিরতি ছিল।
এদিকে পদযাত্রায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় হঠাৎই সোনিয়া গান্ধীর পায়ের জুতার ফিতা আলগা হয়ে যায়। হাঁটতে গিয়ে থমকে গিয়েছিলেন সোনিয়া। বিষয়টি নজরে আসতেই রাহুল নিচু হয়ে বেঁধে দেন ফিতা।
এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর নেটিজেনরা রাহুলের প্রশংসা করছেন। আহমেদ সাজিদ লিখেছেন, ‘দৃষ্টান্তমূলক আচরণ। রাহুল মানুষ হিসেবে খুবই ভালো। তিনি নিশ্চিতভাবেই দারুণ নেতা হবেন।’ ডা. রাজশ্রী সরকার লিখেছেন, ‘সুন্দর ছবি । মা ও সন্তান।’
রাহুলের যাত্রাসঙ্গী হওয়ার আগে সোনিয়া গতকাল স্থানীয় ভিমানাকোল্লি মন্দিরে পূজা দেন ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে প্রার্থনা করেন। আজ সকালে যাত্রা শুরুর পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার বলেন, ‘আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ যে অসুস্থতা সত্ত্বেও সোনিয়া গান্ধী কর্ণাটকের রাস্তায় নেমে এসেছেন। যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। বিজয়া দশমীর পর কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিজয় হবে। রাজ্যে আমরা ক্ষমতায় আসছিই। বিজেপির ঝাঁপ বন্ধ হবে।’ আগামী বছর মার্চ–এপ্রিলে কর্ণাটক বিধানসভার ভোট। কর্ণাটকে এই যাত্রা চলবে সবচেয়ে বেশি। ২১ দিন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেন। সাড়ে ৫ মাস ধরে ১২ রাজ্যের ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই যাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে। বিজেপির ‘ভাগাভাগির রাজনীতির’ বিরুদ্ধে কংগ্রেসের এই যাত্রার লক্ষ্য ‘দেশকে ঐক্যবদ্ধ’ রাখা। রাহুল তাঁর যাত্রাপথের সর্বত্র সেই কথা বলে যাচ্ছেন। ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাইশুরুতে এক জনসভায়ও তিনি ওই কথা জানিয়ে বলেন, বিজেপি দেশকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে চলেছে। কংগ্রেসের উদ্দেশ্য তা রুখে দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখা ও বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিপদ মানুষকে বোঝানো। নিরলসভাবে কংগ্রেস এই লড়াই চালিয়ে যাবে।
কর্ণাটকের বেলারি কেন্দ্র থেকেই সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৯ সালে তাঁর প্রথম লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেবার তিনি হারিয়েছিলেন বিজেপির নেত্রী সুষমা স্বরাজকে। সেই বেলারিতেই সোনিয়া এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। সেখান থেকেই শুরু হবে এই রাজ্যে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারাভিযান।