ভারতের ৩১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির এন চন্দ্রবাবু নাইডু। আর সবচেয়ে ‘গরিব’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের সম্পদের পরিমাণে আছে আকাশ–পাতাল তফাত। মমতার চেয়ে চন্দ্রবাবুর সম্পদের পরিমাণ কয়েক শ গুণ বেশি। গতকাল সোমবার ভারতের বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এপিডিআর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ভারতে রয়েছে ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এর মধ্যে রাজ্যের সংখ্যা ২৮।
এপিডিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গরিব’ মুখ্যমন্ত্রী মমতার সম্পদের পরিমাণ মাত্র ১৫ লাখ রুপি। আর ধনী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩১ কোটি রুপি। রিপোর্টে এ কথাও বলা হয়েছে, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। এই মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে মাত্র একজন রয়েছেন শিক্ষাগত যোগ্যতায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া প্রার্থীদের সম্পদের তালিকা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে এই সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করেছে এপিডিআর। রিপোর্টে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীদের গড় সম্পদের পরিমাণ ৫২ কোটি ৫৯ লাখ রুপি।
রিপোর্টে গরিবের তালিকায় মমতার পরে রয়েছেন যথাক্রমে ওমর আবদুল্লাহ, ন্যাশনাল কনফারেন্স, জন্মু ও কাশ্মীর (৫৫ লাখ রুপি); পিনারাই বিজয়ন, সিপিএম, কেরালা (১ কোটি ১৮ লাখ); আতিশী মার্লেনা, আম আদমি পার্টি, দিল্লি (১ কোটি ৪১ লাখ); ভজনলাল শর্মা বিজেপি, রাজস্থান (১ কোটি ৪৬ লাখ), বীরেন সিং, মণিপুর, বিজেপি (১ কোটি ৪৭ লাখ, ৭); যোগী আদিত্যনাথ, উত্তর প্রদেশ, বিজেপি (১ কোটি ৫৪ লাখ, ৮); নীতীশ কুমার, বিহার, সংযুক্ত জনতা দল (১ কোটি ৬৪ লাখ); ভগবন্ত মান, পাঞ্জাব, আম আদমি পার্টি (১ কোটি ৯৭ লাখ) এবং মোহনচন্দ্র মাঝি, ওডিশা, বিজেপি (১ কোটি ৯৭ লাখ রুপি)।
আর ধনীদের তালিকায় চন্দ্রবাবু নাইডুর পরে আছেন প্রেমা খান্ডু, অরুণাচল প্রদেশ, বিজেপি (৩৩২ কোটি, ৩), সিদ্দারামাইয়া, কর্ণাটক, কংগ্রেস (৫১ কোটি, ৪); নেয়িয়ু রিও, নাগাল্যান্ড, এনডিপিপি (৪৬ কোটি, ৫); মোহন যাদব, মধ্যপ্রদেশ, বিজেপি (৪২ কোটি ); এন রঙ্গস্বামী, পদুচেরি, এনআর, কংগ্রেস (৩৮ কোটি, ৭); রেবন্ত রেড্ডি, তেলেঙ্গানা, কংগ্রেস (৩০ কোটি); হেমন্ত সোরেন, ঝাড়খন্ড, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (২৫ কোটি, ৯); হিমন্ত বিশ্বশর্মা, আসাম, বিজেপি (১৭ কোটি) এবং কনরাড সাংমা, মেঘালয়, এনপিপি (১৪ কোটি রুপি)।
এপিডিআরের রিপোর্টে আরও বলা হয়, ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। আর এর মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যাসহ গুরুতর অভিযোগ।
আর শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ জন রয়েছেন স্নাতক, ৯ জন স্নাতকোত্তর, ৫ জন বিভিন্ন পেশার ডিগ্রিধারী, ২ জন পিএইচডি, ৩ জন দ্বাদশ উত্তীর্ণ আর মাত্র একজন দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।