ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের যাবতীয় ওয়াক্ফ সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র–শাসিত অঞ্চলটির প্রশাসনের হাতে চলে এসেছে। এই ওয়াক্ফ সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় স্থান, মসজিদ, খানকাহ ও অন্যান্য সম্পত্তি। গত মঙ্গলবার একটি নির্দেশ জারি করে জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ পরিষদের কার্যনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক মহি-উদ-দিন এসব কথা জানিয়েছেন।
ওয়াক্ফ পরিষদের নির্দেশে বলা হয়েছে, এত দিন সরকারি স্তরে এই বিপুল সম্পত্তির দেখভাল করা হতো না। স্থানীয় কমিটি ব্যক্তিগত স্তরে এই সম্পত্তির দেখভাল করত। সেই কারণে ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ে যথেষ্ট অনিয়ম হচ্ছিল। বিষয়টি সাধারণ মানুষ সরকারি ওয়াক্ফ পরিষদের নজরে নিয়ে আসে।
ওয়াক্ফ সম্পত্তি প্রধানত ব্যক্তিগত সম্পত্তি, যা একটি স্থানীয় কমিটি গঠন করে লিখে দেওয়া হয়। এই সম্পত্তি কখনোই সরকারি সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। কাশ্মীরে ওয়াক্ফ সম্পত্তি এত দিন স্থানীয় স্তরেই দেখাশোনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা হতো।
‘দুর্নীতি রোধে স্বচ্ছতা আনতে এখন থেকে ওই ধর্মীয় স্থান, জামিয়া মসজিদ, খানকাহ ও অন্যান্য সম্পত্তির প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ পরিষদের হাতে থাকবে’ বলে সরকারি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। এক মাস আগে এই মর্মে একটি ঘোষণা দিয়েছিল ওয়াক্ফ পরিষদ। পরে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ জারি করা হলো।
ভারতের অংশ হলেও কাশ্মীরের অনেক বিষয়ই দেশটির নীতিতে পরিচালিত হতো না। স্থানীয় বিধানসভা এবং স্থানীয় পরিচালন পদ্ধতির বাইরে পৃথকভাবে ওই রাজ্যে অনেক কিছুই চলত। তবে ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়। রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নিয়ে এটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানানো হয়।