ভারত জোড়ো যাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র মঙ্গলবার বলেন, ‘আমার বড় ভাই সত্যের পথে চলছেন। সহযাত্রী সবাই দেশের সর্বত্র একতা ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিন।’
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর প্রদেশের দলের ভারপ্রাপ্ত প্রিয়াঙ্কা দিল্লি-উত্তর প্রদেশের লোনি সীমান্তে ভারত জোড়ো যাত্রীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আম্বানি ও আদানিরা সবকিছু কিনে নিচ্ছে। নেতা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, গণমাধ্যম। কিন্তু রাহুল গান্ধীকে কেনা যায়নি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘ভাইয়ের জন্য আমি গর্ব বোধ করি।’
৯ দিন বিরতির পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা গতকাল আবার শুরু হয়। দিল্লির কাশ্মীরি গেট এলাকার যমুনা বাজারে হনুমানমন্দিরে প্রার্থনা সেরে সকাল ১০টা নাগাদ রাহুল শুরু করেন পদযাত্রা। ২০২০ সালে দিল্লি দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দুপুরে লোনি সীমান্তে পৌঁছান রাহুল ও তাঁর সহযাত্রীরা। আগামী তিন দিন উত্তর প্রদেশের কৃষি–অধ্যুষিত অঞ্চল দিয়ে হেঁটে তাঁরা ৬ জানুয়ারি হরিয়ানায় প্রবেশ করবেন। তারপর ঢুকবেন পাঞ্জাবে। ১১ থেকে ২০ জানুয়ারি পাঞ্জাব থাকাকালীন ১৯ তারিখ রাহুল ও তাঁর সহযাত্রীরা কাটাবেন হিমাচল প্রদেশে। ২০ জানুয়ারি শুরু হবে যাত্রার অন্তিম পর্ব, জম্মু-কাশ্মীরে। ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ভারত জোড়ো যাত্রার প্রথম পর্ব। রাহুল বলেছেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের চাহিদা ও দাবি মেনেই দল ঠিক করবে ভারত জোড়ো যাত্রার পরবর্তী পর্ব শুরু করা হবে কি না।
ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতে কংগ্রেস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের চিঠি লিখেছে। উত্তর প্রদেশের তিন নেতা অখিলেশ যাদব, মায়াবতী ও জয়ন্ত চৌধুরী যাত্রাকে সমর্থন জানালেও ব্যক্তিগত কারণে অংশ নিতে অপারগতার কথা জানিয়েছেন। এখন দেখার, তাঁরা দলের অন্য কাউকে যাত্রায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন কি না। রাষ্ট্রীয় লোকদলের নেতা জয়ন্ত চৌধুরীর প্রয়াত পিতা চরণ সিং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ভারত জোড়ো যাত্রার দিল্লিতে প্রবেশের পর রাহুল অন্য প্রধানমন্ত্রীদের মতো তাঁর সমাধিতেও গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে।
গতকাল রাহুলের যাত্রাকে সমর্থন জানিয়েছেন অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাহুলের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়ে এক চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘এই যাত্রা সবার মঙ্গলের জন্য। এই মহৎ কাজের জন্য আপনার প্রতি ভগবান রামচন্দ্রের আশীর্বাদ থাকছে। আপনার উদ্দেশ্য সফল হোক।’ গতকাল রাহুলের যাত্রাসঙ্গী হন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরোর সাবেক বিশেষ সচিব ও ‘র’–এর সাবেক সচিব এ এস দৌলত। অটল বিহারি বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দৌলতকে জম্মু-কাশ্মীরের উপদেষ্টা করেছিলেন।