ভারতের ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থার ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করছেন বহুজন সমাজ পার্টির কর্মীরা। কানপুর কোম্পানি বাগে, ২১ আগস্ট ২০২৪
ভারতের ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থার ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করছেন বহুজন সমাজ পার্টির কর্মীরা। কানপুর কোম্পানি বাগে, ২১ আগস্ট ২০২৪

ভারতের বিহারে ডাকা ধর্মঘটে ম্যাজিস্ট্রেটকে ভুলে লাঠিপেটা

ভারতজুড়ে বন্‌ধ্‌ (ধর্মঘট) চলার মধ্যে এক সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছেন। ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনার ডাকবাংলো চত্বরে আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের এক সদস্য সাধারণ মানুষ মনে করে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঠিপেটা করেন। কারণ, তিনি সাদাপোশাকে ছিলেন। পুলিশের লাঠিপেটার শিকার ওই এসডিএমের নাম শ্রীকান্ত কুন্ডলিক খান্দেকার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, পাটনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত চলার মধ্যে সেখানে হঠাৎ কোথা থেকে পাটনার এসডিএম শ্রীকান্ত কুন্ডলিক চলে আসেন। তখন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গকারী পুলিশের এক সদস্য অন্যদের সঙ্গে তাঁকেও লাঠিপেটা করেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অন্য সহকর্মীরা ওই পুলিশ সদস্যকে ভুল ধরিয়ে দেন। এতে গুরুতর আঘাত থেকে রক্ষা পান ওই ম্যাজিস্ট্রেট।

ভুল বুঝতে পেরে আক্রমণকারী পুলিশ সদস্য এসডিএম শ্রীকান্তের কাছে ক্ষমা চান। তাঁদের সংক্ষিপ্ত আলাপ করতে দেখা যায়।

ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব দলিত অ্যান্ড আদিবাসী সংস্থার (এনএসিডিএওআর) ভারতজুড়ে ডাকা ধর্মঘটে আজ পাটনার ডাকবাংলো চত্বরে বিশাল মিছিল বের হয়। বিক্ষোভকারীরা সেখানকার এজেপি গোলম্বার মোড়ে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তখন পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। জলকামানও ব্যবহার করে।

১ আগস্ট ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৭ জন বিচারকের একটি বেঞ্চ দেশটির তফসিলি সম্প্রদায় ও তফসিলি আধিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় আরও উপ-শ্রেণিবিভাগ সৃষ্টির পক্ষে রায় দেন। ছয়জন বিচারক নতুন উপ-শ্রেণিবিভাগ সৃষ্টির পক্ষে মত দেন। একজন বিপক্ষে মত দেন।

এই রায়ের ফলে রাজ্যপর্যায়ে দেশটির কোটাব্যবস্থা পিছিয়ে পড়া আরও নতুন জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু সরকারি চাকরিতে পুরোনো তফসিলি সম্প্রদায়ের আসন কমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তাই এনএসিডিএওআর সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে মেনে নেয়নি। তারা আজ সারা ভারতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। বহুজন সমাজ পার্টিসহ (বিএসপি) কিছু রাজনৈতিক দল তাদের সমর্থন জানিয়েছে।

এনএসিডিএওআরের ডাকা ধর্মঘটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিহারের পাশাপাশি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশ রাজ্যে বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল দেখা গেছে।