ভাঙা চাল বা খুদ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে বাসমতি ছাড়া অন্য চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে দেশটি। তবে সেদ্ধ চাল রপ্তানিতে এই শুল্ক দেওয়া হয়নি।
আজ শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে এ তথ্য জানা যায়। চলমান খরিফ মৌসুমে (চৈত্র থেকে ভাদ্র মাস) ধানের আবাদি এলাকা কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ওই খবরে জানানো হয়েছে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রপ্তানির সুযোগ থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে যদি নিষেধাজ্ঞার আদেশের আগে জাহাজে খুদবোঝাই শুরু হয়ে থাকে, শিপিং বিল দাখিল করা হয়েছে এমন, যেসব জাহাজ ইতিমধ্যেই ভারতীয় বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে, পৌঁছেছে কিংবা নোঙর করেছে এবং তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব খুদের চালান ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং প্রক্রিয়া মেনে নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলো রপ্তানি করা যাবে।
এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই খরিফ মৌসুমে ধান আবাদের এলাকা গত বছরের চেয়ে কম হতে পারে। এটি ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ও মূল্যবৃদ্ধি দুটিতেই প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে কিছু রাজ্যে চলমান খরিফ মৌসুমে ধানের আবাদ ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে প্রায় ৩৮৪ লাখ হেক্টরে নেমে এসেছে।