বাংলাদেশের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ৬ জনকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত আবার জেল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন কলকাতার একটি বিশেষ আদালত।
অর্থাৎ, তাঁদের জেল হেফাজতের মেয়াদ আরও ৫৬ দিন বাড়ানো হলো। সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের চার নম্বর আদালতের বিচারপতি বিদ্যুৎকুমার রায় এই হেফাজত বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এখন পর্যন্ত হালদার তাঁর তরফে কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেননি। যদিও মামলাটি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আইনজীবীদের মধ্যে জল্পনা চলছে, কারণ যাঁকেই হালদার নিয়োগ করবেন, তিনি বড় অঙ্কের অর্থ হালদার পরিবারের থেকে চাইবেন। মনে করা হচ্ছে, মামলাটির শুনানি শুরু হলে তখন আইনজীবী নিয়োগ করবেন হালদার।
গত মে মাসে পি কে হালদার ও তাঁর আরও পাঁচ সহযোগীকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাংলাদেশের একটি ব্যাংক থেকে অর্থ তছরুপ করে তাঁরা ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন বলে ইডির আইনজীবী জানান।
পি কে হালদার ছাড়াও গ্রেপ্তার হন তাঁর ভাই প্রানেশ কুমার হালদার, যিনি উত্তর ২৪ পরগনায় পি কে হালদারের জমিজমা, বাড়ি এবং মাছের ভেড়ির ব্যবসা আংশিকভাবে দেখাশোনা করতেন। এ ছাড়া আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার হন।
ইডি পরবর্তী তিন মাসে তাঁদের ভারতে প্রচুর সম্পত্তির হদিস পায়। যার মধ্যে ছিল—একাধিক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, অর্থ এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ–সংক্রান্ত কাগজপত্র। মালয়েশিয়া, দুবাই ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেও সম্পত্তির হদিস মেলে। তাঁর একাধিক পাসপোর্টেরও হদিস পাওয়া যায়।