তিন দিনের সম্মেলন থেকে জোটের যে বার্তা ২০২৩ সালে কংগ্রেস দিল, ২০০৩ সালেও সেই বার্তাই দিয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ২০ বছর পর সেই উদ্যোগ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কি সাফল্যের মুখ দেখাবে? প্রশ্নটির উত্তর লুকিয়ে আছে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিরোধী দলের মানসিকতার ওপর।
মধ্য ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের রাজধানী রায়পুরে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ৮৫তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মূল আকর্ষণ ছিল একটাই। লোকসভার পরবর্তী ভোটে বিজেপিবিরোধী জোট গড়ার কাজে কংগ্রেস কতটা অনুঘটক হতে পারে।
সম্মেলন শুরুর আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জোটবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন, এটাই সময়ের চাহিদা। কংগ্রেসের দিকে তাঁর মতো আরও অনেকে তাই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন।
তিন দিনের (২৪–২৬ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলনে কংগ্রেস জোট গঠন নিয়ে স্পষ্টভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। বলেছে, আদর্শগত মিল আছে, এমন সমভাবাপন্ন দলের এমন একটা জোট প্রয়োজন, যা বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখবে। এই সঙ্গে এ কথাও কংগ্রেস দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছে, তৃতীয় কোনো জোট থাকার অর্থ বিজেপির সুবিধা করে দেওয়া।
জোট গঠনে কংগ্রেসের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশের পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্ব কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যেমন বিজেপিবিরোধী একটাই জোট থাকা উচিত। সেই জোটের নেতৃত্ব দেবে কংগ্রেস এবং তা গঠিত হবে ২০০৪ সালের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) ধাঁচে, যার আধার হবে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি। কংগ্রেস এটাও বলেছে, তৃতীয় কোনো জোট গঠিত হলে বিজেপিরই সুবিধা। কেন, তা সহজেই অনুমেয়।
বিজেপিবিরোধী ভোট ভাগাভাগি হবে। তাতে তাদের জয়ের রাস্তা কণ্টকমুক্ত হবে। জোটের নেতৃত্ব কেন কংগ্রেস দেবে, তা–ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিজেপি–বিরোধিতার ক্ষেত্রে কংগ্রেসই একমাত্র দল, যার ধারাবাহিকতা রয়েছে। কংগ্রেস কখনো কোনোভাবে বিজেপির সঙ্গে আপস করেনি। তা ছাড়া কংগ্রেসই একমাত্র দল, যার উপস্থিতি দেশের সর্বত্র।
রায়পুর থেকে এই বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন, সে বিষয়টি কংগ্রেস অনুচ্চারিত রেখেছে। যদিও জোটের নেতৃত্বদানের সেরা মুখ হিসেবে রাহুল গান্ধীকে তুলে ধরা হয়েছে। স্পষ্ট বোঝানো হয়েছে, ভারত জোড়ো যাত্রা নতুন এক রাহুলের জন্ম দিয়েছে।
দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী ওই যাত্রার সাফল্য এতটাই যে সম্মেলন থেকে পরবর্তী ভারত জোড়ো যাত্রার আগাম ঘোষণাও করা হয়েছে। পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ থেকে সেই যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হবে পশ্চিমের গুজরাটে। হয় জুন মাসে, নতুবা সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে।
রায়পুর থেকে জোটের যে বার্তা ২০২৩ সালে কংগ্রেস দিল, ২০০৩ সালে সিমলা অধিবেশন থেকে সেই বার্তাই দিয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পরের বছর কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল এবং আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছিল ইউপিএ জোট। ২০ বছর আগে সোনিয়ার যে উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়েছিল, ২০ বছর পর সেই উদ্যোগ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কি সাফল্যের মুখ দেখাবে? প্রশ্নটির উত্তর লুকিয়ে আছে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিরোধী দলের মানসিকতার ওপর।
বিজেপি–বিরোধিতার যে মানদণ্ড কংগ্রেস নির্ধারণ করেছে, তা কতটা ফলপ্রসূ হবে সন্দেহ। তৃতীয় কোনো জোট গঠন না হওয়াটাও ওই মানসিকতা নিশ্চিত করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে বিস্তর। ফলে রায়পুর থেকে বিজেপিবিরোধী জোট গঠনের ডাক দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তাতে শাসক দলের ভ্রু কুঞ্চিত হওয়ার মতো কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না; বরং তারা নির্বিকার এবং এই বিষয়ে নিশ্চিত যে ২০২৪–এর লড়াই বিজেপি বনাম বিরোধী জোটের দ্বৈরথে পরিণত হচ্ছে না। তৃতীয় শক্তির উপস্থিতি থাকছেই। অর্থাৎ লড়াই ত্রিমুখী।
এর কারণ দুটি। প্রথম কারণ, পারস্পরিক অশ্রদ্ধা, দ্বিতীয় কারণ নীতিগত অবিশ্বাস। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস যত দিন পরিচালিত হয়েছে, পারস্পরিক অশ্রদ্ধার বিষয়টি তত দিন মাথাচাড়া দেয়নি। চরিত্রগতভাবে সোনিয়া সবাইকে নিয়ে চলার পক্ষপাতী। তা সে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী হোক, কিংবা বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন। লক্ষ করলে দেখা যাবে, সোনিয়ার রাজত্বে প্রতিহিংসাপরায়ণতার নিদর্শন প্রায় নেই।
‘জি–২৩’ নেতাদের অসন্তোষ ভরা চিঠির পর প্রবল চাপ সত্ত্বেও সোনিয়া কিন্তু কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি। তাঁর আমলে ইউপিএ জোটও তাই মজবুত ছিল। সোনিয়ার প্রতি অন্যরা এখনো শ্রদ্ধাবনত। যদিও রাহুলের প্রতি ততটা নন।
রাহুল গান্ধীর মানসিকতাও মায়ের ঠিক বিপরীত। দল গঠন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি নীতি ও আদর্শকে বেশি গুরুত্ব দেন। তিনি মনে করেন, সবাইকে মানিয়ে চলা আপসেরই নামান্তর। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল তাঁর কাম্য। এই ক্ষেত্রে প্রথম দিকের রাজীব গান্ধীর সঙ্গে তাঁর খুব মিল।
১৯৮৫ সালে মুম্বাইয়ে দলীয় অধিবেশন মঞ্চ থেকে রাজীব দলের ‘বাস্তুঘুঘুদের’ বিরোধিতায় স্বরক্ষেপণ করেছিলেন। রাহুলও সভাপতি হয়ে তাঁর ধারণা অনুযায়ী ‘টিম’ গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি মনে করেন, এমন অনেকেই নেতা সেজে রয়েছেন, যাঁদের দলকে দেওয়ার কিছু নেই।
শুধু আখের গোছাতে পদ আঁকড়ে রয়েছেন। যোগ্যদের সুযোগ দিচ্ছেন না। আরএসএস ও বিজেপির আদর্শ ও নীতির বিরোধিতায় তিনি যে বিন্দুমাত্র আপসে রাজি নন, বারবার সে প্রমাণ রেখেছেন। ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন বরুণ গান্ধীর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে যা বলেছিলেন, তা থেকে তাঁর অনড় মানসিকতার পরিচয়ই পাওয়া যায়।
সেই কারণে রায়পুরে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই সর্বাত্মক করে তুলতে নীতি ও আদর্শগত ভিতের ওপর জোট গঠনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেসব বিরোধী নেতা–নেত্রীকে এক মঞ্চে আনা জরুরি, তাঁদের অধিকাংশের চেয়ে রাহুলের বয়সও কম। তার ওপর রয়েছে নীতিগত অবিশ্বাস। নীতি–আদর্শগত রাজনীতি ও প্রকৃত রাজনীতির ফারাকটা রাহুল বুঝতে চান না। ফলে জোটবদ্ধতার পথে উঠে গেছে অলঙ্ঘনীয় প্রাচীর।
রাজনীতির কারবারিদের এটুকু বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের সভাপতি হলেও গান্ধী পরিবারের অমতে কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না। দৈনন্দিন ও প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে অসুস্থ অশক্ত সোনিয়াও যে দ্রুত সরে যাচ্ছেন, সে ইঙ্গিত তিনি নিজেই রায়পুরে দিয়েছেন। ফলে সরাসরি না হলেও রাহুলই হয়ে উঠতে চলেছেন কংগ্রেসের প্রধান চালক। রাহুলকে জোটের নেতা হিসেবে মানতে যাঁদের আপত্তি এখনো তীব্র, সেই মহল তাই হেলদোলহীন। ভোট পাটিগণিতে এর গুরুত্ব অসীম।
বিজেপি বিরোধিতার যে মানদণ্ড রাহুল ঠিক করেছেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি ও জনতা দল (এস) পুরোপুরি বিজেপিবিরোধী বলে চিহ্নিত নয়। রাহুল ছাড়াও এই তিন দল সম্পর্কে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের মনোভাব যথেষ্ট কঠোর। অনেকে প্রকাশ্যে প্রশ্নও তুলেছেন।
তিনটি দলকেই ‘বিজেপির বি টিম’ বলা হয়েছে। রাহুল নিজে মেঘালয়ে প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপিবিরোধী চরিত্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। একই বিশেষণ দেওয়া হয়েছে আম আদমি পার্টি ও জনতা দলকেও (এস)।
এই তিন দলের মতোই উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদবের এসপি ও মায়াবতীর বিএসপি, অন্ধ্র প্রদেশে জগনমোহন রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেস এবং তেলেঙ্গানার চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতি বিজেপি–বিরোধিতার ক্ষেত্রে ‘সমভাবাপন্ন’ দল কি না, সেই প্রশ্নচিহ্ন কংগ্রেস ঝুলিয়ে রেখেছে। ওডিশায় নবীন পট্টনায়ককে কেউ কখনো বিজেপির বিরোধিতা করতে দেখেনি। কাজেই তারাও বাদ। এই দলগুলোর নেতা–নেত্রীরাও রাহুলকে জোটের নেতা হিসেবে মানতে প্রস্তুত নন।
তাহলে পাটিগণিতের হিসাব কেমন দাঁড়াচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মোট লোকসভা আসন ৮৪। এসপি ও বিএসপির উত্তর প্রদেশকে নিলে সংখ্যাটা পৌঁছে যাচ্ছে ১৬৪–তে। আম আদমি পার্টির দিল্লি ধরলে ১৭১। ওডিশার ২১ আসনে কংগ্রেস প্রথমার চাঁদ! ওই রাজ্য ধরলে সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৯২।
সমভাবাপন্ন ও নেতৃত্বের গোঁ ধরে জোট করার অর্থ হবে এই ১৯২ আসন বাদ দিয়ে লড়াইয়ে নামা এবং তৃতীয় জোটের পথ প্রশস্ত করা। সে ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে হারানো যে আকাশ কুসুম কল্পনা, কংগ্রেস তা বিলক্ষণ জানে ও বোঝে। এখন দেখার, এই শরিকদের কাছে টানতে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধীরা বাড়তি পরিশ্রমে প্রস্তুত কি না। এবং কতটা নমনীয় হয়ে।
রায়পুরের মহা অধিবেশন এক সংশয়েরও জন্ম দিয়েছে। ২০১৯ সালে মোদির মোকাবিলায় কংগ্রেস যে চিত্রনাট্য তৈরি করেছিল, ২০২৪–এর চিত্রনাট্যও হতে চলেছে তারই অভিন্ন সংস্করণ। সংশয় সে জন্যই।
সেবার কংগ্রেস হাতিয়ার করেছিল রাফালকে। ফ্রান্সের ওই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনাবেচার চুক্তিতে বিপুল অর্থ অপচয়ের অভিযোগের পাশাপাশি কংগ্রেস প্রচার করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের (হ্যাল) ক্ষতির কাহিনি। বলেছিল, পছন্দের শিল্পপতি অনিল আম্বানির ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য মোদি হ্যালকে বঞ্চিত করেছেন। পুরোনো চুক্তি বাতিল করে বেশি টাকায় কম রাফাল কিনে দেশকে বিপদের মুখে ফেলেছেন।
মনে থাকার কথা, রাহুলই দেশের কোণে কোণে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান। দেশবাসী কিন্তু মোদিকে চোর ভাবেনি। বরং আরও শক্ত করে তাঁকে আঁকড়ে ধরেছিল। ৩০৩ আসন পেয়ে দ্বিতীয় দফার সরকার গড়েছিলেন মোদি। রাহুল বাধ্য হয়েছিলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে যেতে।
এবারও দুর্নীতি ও অনৈতিকতার সেই চিত্রনাট্য নতুন করে লেখা হচ্ছে। নতুন আঙ্গিকে। রাফালের স্থানে এসেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। হিনডেনবার্গ রিপোর্ট তাঁর সাম্রাজ্যে ধস নামিয়েছে। বিজেপি ও সরকার মুখ বন্ধ করে বসে আছে। গোটা বিষয়টা ‘পশ্চিমা চক্রান্ত’ বলে জাতীয়তাবাদের ঢাল উঁচিয়ে বাঁচতে চাইছে সরকার।
একটি অভিযোগেরও জবাব না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে শুধু বলেছেন, ‘ময়লা যত ছিটানো হবে, পদ্মফুল তত প্রস্ফুটিত হবে। ১৩০ কোটি দেশবাসীর আশীর্বাদ আমার বর্ম।’ সংসদীয় তদন্তের দাবি মানতে সরকারের তীব্র অনীহা এবং আদানির অবিরাম রক্তক্ষরণে স্পষ্ট, গ্যাঁড়াকল আছেই। গৌতম আদানিও রাফালের মতো বিমূর্ত নন।
কিন্তু তবু দেশি–বিদেশি সব জরিপে মোদির মাথা এখনো তালগাছের মতো উঁচু। এত কিছুর পরেও ৭০ শতাংশের পছন্দ তিনিই। তাঁর মতো স্বপ্নের ফেরিওয়ালার সন্ধানও সমসাময়িক রাজনীতিতে নেই। ২০১৯–এর মতো ২০২৪–এর চিত্রনাট্যও বক্স অফিসের আনুকূল্য না পেলে মোদি–ম্যাজিকের মাহাত্ম৵ নতুনভাবে চিত্রিত হবে। কিন্তু বিরোধীরা সফল হলে ৩৫ বছর পর তা হবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। বফর্স বিতর্কে অমিতাভ বচ্চনকে আঘাত করে বিরোধীরা রাজীব গান্ধীর পতন ঘটিয়েছিল। মোদি–আদানি উপাখ্যানও অতঃপর তুলনীয় হবে তার সঙ্গে।
বিজেপির পালে হাওয়া কতটা, তারা অজেয় নাকি নশ্বর, এপ্রিল–মে মাসে কর্ণাটক সেই ইঙ্গিত দেবে। কর্ণাটকই পটবদলের ‘হাওয়া মোরগ’। বিজেপি সেখানে বেশ নড়বড়ে। হিজাব–আজানে গা ঘামিয়ে তারা এখন বিধানসভার ভোট ‘টিপু সুলতান বনাম সাভারকরের’ লড়াই করে তুলতে মরিয়া।
সিদ্দারামাইয়া–শিবকুমারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিয়ে ভূমিপুত্র খাড়গে সেখানে কংগ্রেসকে তরাতে পারলে বছর শেষে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানার ভোট জাতীয় রাজনীতিকে চনমনে করে তুলবেই। বিজেপিবিরোধী জোটবদ্ধতা বা আসন সমঝোতার প্রকৃত দরাদরিও শুরু হবে তখন। আপাতত শুরু হয়েছে সলতে পাকানোর পর্ব।