ভারত জোড়ো যাত্রার শেষ দিন ৩০ জানুয়ারি কাশ্মীর উপত্যকার শ্রীনগরে উপস্থিত থাকতে কংগ্রেস দেশের ২১টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এই দলগুলোর সভাপতিদের চিঠি লিখে আমন্ত্রণ জানান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ভারত জোড়ো যাত্রার অন্যতম প্রধান সংগঠক ও কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশও এক টুইটে এই খবর জানিয়েছেন।
কংগ্রেস সভাপতি লিখেছেন, ‘এই যাত্রায় অংশ নিতে শুরু থেকেই কংগ্রেস সব সমভাবাপন্ন দল, গোষ্ঠী, সংগঠন ও ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। অনেকেই যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। এবার আমি আপনাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, ৩০ জানুয়ারি যাত্রার শেষ দিন শ্রীনগরে উপস্থিত থাকতে। ওই দিন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী প্রাণ দিয়েছিলেন। সারা জীবন তিনি ঘৃণা ও হিংসার বিরুদ্ধে আদর্শগত লড়াই চালিয়ে গেছেন। যাত্রার শেষ দিনের অনুষ্ঠান তাঁর প্রতি সমর্পিত। ওই দিন আমরা সবাই ঘৃণা ও হিংসার বিরুদ্ধে ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের অঙ্গীকারবদ্ধ করব। সংবিধান ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষায় নিজেদের নিবেদিত করব। সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হব।’
খাড়গে চিঠিতে আরও লিখেছেন, দেশের এই সংকটকালে মানুষের দৃষ্টি জবরদস্তি করে অন্য দিকে ঘোরানো হচ্ছে। জনগণ যেসব সমস্যায় জেরবার, সেগুলোর নিরসন করা হচ্ছে না। এই সংকটের সময় ভারত জোড়ো যাত্রা জনতার কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে।
এই বার্তা আরও সুদূরপ্রসারী ও শক্তিশালী করতে দলীয় সভাপতিদের যোগদানের অনুরোধ জানিয়ে খাড়গে লিখেছেন, ‘দেশ আজ এক ভয়ংকর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। সংসদ ও মিডিয়ায় বিরোধীদের কণ্ঠস্বর অবরুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভারত জোড়ো যাত্রা সরাসরি লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা শুনেছে। সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এটাই এই যাত্রার সার্থকতা।’
কংগ্রেস সভাপতি এই চিঠি লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস, জনতা দল (সংযুক্ত), টিডিপি, আরজেডি, এসপি, বিএসপি, বামপন্থী দলগুলোসহ মোট ২১ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। পাঁচটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাদের মধ্যে রয়েছে আম আদমি পার্টি, ওডিশার বিজু জনতা দল, কর্ণাটকের জনতা দল (এস), তেলেঙ্গানার টিআরএস ও পাঞ্জাবের অকালি দল।