মালদ্বীপ থেকে অবশিষ্ট সেনাদেরও গতকাল শুক্রবার সরিয়ে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে নয়াদিল্লি। গত বছর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহামেদ মুইজ্জু। তিনি চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনী প্রচারণায় মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা হটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর সেনা সরিয়ে নিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান মুইজ্জু। পর্যটনসমৃদ্ধ দ্বীপরাষ্ট্রটির সমুদ্রসীমায় উড়োজাহাজের মাধ্যমে টহলে সহযোগিতা করছিলেন এসব সেনা। নাম না প্রকাশ করার শর্তে মালদ্বীপের এক কর্মকর্তা জানান, ২৭ ভারতীয় সেনার তৃতীয় ও সর্বশেষ দলটি গতকাল মালদ্বীপ ছেড়ে যায়। দুই দেশের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫১ সেনার আরেকটি দল গত মঙ্গলবার দেশে ফিরে যায়।
অবাঞ্ছিত মন্তব্য ও আচরণ যাতে সম্পর্কহানির কারণ না হয়, সে জন্য সরকারের সচেষ্ট থাকার কথা জানিয়ে দিলেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির। মন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভারত সফরে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে মুসা জমির বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর দেশের কয়েকজন মন্ত্রীর মন্তব্য কোনোভাবেই সরকারি মনোভাব ছিল না। নির্বাচনের পর মালদ্বীপের কোনো মন্ত্রীর এটাই প্রথম ভারত সফর।