পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আরেক কংগ্রেস নেতা শুভংকর সরকার।
গতকাল শনিবার গভীর রাতে চিঠি দিয়ে অধীর চৌধুরীকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় জাতীয় কংগ্রেস। চিঠিটি দিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
লোকসভার সাবেক সদস্য অধীর চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের একজন ঝানু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত। রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর ২০২০ সালে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর সমালোচক।
জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে গড়া বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক তৃণমূল। জোটসঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও মমতাকে মেনে নিতে পারেননি অধীর চৌধুরী; বরং তিনি মমতার কড়া সমালোচনা করে আসছিলেন।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অধীর চৌধুরীর এ অবস্থান মেনে নিতে পারেনি জাতীয় কংগ্রেস। তাই তাঁকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
অধীর চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৬ সালে। তিনি একটানা ২৫ বছর লোকসভার সদস্য ছিলেন। কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। লোকসভায় কংগ্রেস–দলীয় নেতাও ছিলেন তিনি।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরী তাঁর মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার ও গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে যান।
অধীর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত শুভংকর সরকার গত ৩০ আগস্ট কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক হন। এ ছাড়া তাঁকে অরুণাচল, মেঘালয় ও মিজোরাম রাজ্য কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্বে রাখা হয়।