দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মুখপত্রের পদ থেকে ১৪ দিনের জন্য সরিয়ে দিয়েছে দলটি। কুণাল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য শাখার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জি বর্তমানে কারাগারে আছেন। এই অভিযোগের বিষয়ে পার্থ শুরু থেকেই বলে আসছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁর এই ষড়যন্ত্রতত্ত্বের সমালোচনা করে গত শুক্রবার কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘এবার পার্থ বুঝবে, কীভাবে জেলের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।’ এই মন্তব্যের পর কুণাল বুঝতে পারেননি এভাবে তিনি ফেঁসে যাবেন। ভেবেছিলেন পার্থর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে দলের প্রশংসা কুড়াবেন। প্রশংসার পরিবর্তে তাঁর কপালে জুটল ‘শাস্তি’।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি। গতকাল শনিবারই কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি পার্থর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি চাই এই দুর্নীতি–কাণ্ডের দ্রুত বিচার হোক। বিচারে পার্থর যাবজ্জীবন হলেও আমার কোনো কথা থাকবে না।’ মমতার এ কথার ওপর ভিত্তি করে কুণাল ঘোষ পার্থর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সুকন্যা ভট্টাচার্য প্রেসিডেন্সি কারাগারে গিয়ে দেখা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সে সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর আইনজীবীকে বলেন, মমতার ওপর তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। তিনি মন্ত্রিত্বসহ দলের সব পদ ছাড়লেও বিধায়কের পদ ছাড়বেন না। ছাড়বেন না মমতাকেও। পার্থ আরও বলেন, দল এবং নেত্রীর ওপর তাঁর অগাধ বিশ্বাস এবং আস্থা রয়েছে।
পার্থর আইনজীবী জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একজন সাধারণ কয়েদির মতো রাখা হচ্ছে সেলে। মাটিতে কম্বল পেতে ঘুমাচ্ছেন। সাধারণ কয়েদিদের মতো তাঁর সঙ্গে আচরণ করা হচ্ছে।