পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার দমদমের যশোর রোডের সেন্ট্রাল জেলের কাছে ২০ দিনের চেষ্টায় গতকাল বুধবার মাটি খনন করে উদ্ধার করা হয়েছে বিরাট একটি কামান। বলা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে এযাবৎ পাওয়া কামানের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।
দমদম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুটি কামান পোঁতা ছিল। গতকাল একটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিটিও একইভাবে মাটি খুঁড়ে উদ্ধারের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
উদ্ধার হওয়া কামানটির দৈর্ঘ্য ১০ ফুট ৮ ইঞ্চি। এটিই এযাবৎকালে পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার হওয়া সবচেয়ে বড় কামান। এর আগে রাজ্যে উদ্ধার হওয়া সর্ববৃহৎ কামানটির দৈর্ঘ্য ছিল ৯ ফুট। সেই কামান কলকাতার টাউন হলে সংরক্ষিত রয়েছে।
গত ১৫ মার্চ দমদম এলাকার কামানটি মাটি খুঁড়ে বের করার উদ্যোগ নেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিশিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায়।
উদ্ধারকাজে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কামান ও অ্যান্টিক বন্দুক বিশেষজ্ঞ অমিতাভ কারকুন। কিন্তু সাড়ে সাত ফুট খননের পর কামানের আশপাশে নানা তার জড়িয়ে থাকায় তাঁরা আর গভীরে যেতে পারেননি।
গতকাল এই কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগের কমকর্তাসহ ইতিহাসবিদ গৌর মৌলিক যোগ দেন। তাঁরা মাটি খনন করে ১০ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা রাজ্যের সর্ববৃহৎ কামানটি উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকারীদের ধারণা, কামানটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার আমলে তৈরি। কলকাতা আক্রমণের সময় এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। তাঁরা মনে করছেন, ১৭৬০ থেকে ১৭৭০ সালের দিকে এটি নির্মিত হয়েছিল। ইতিহাসবিদেরা কামানটি পরীক্ষা করে দেখছেন।
ক্রেনের সাহায্যে গতকালই কামানটি পশ্চিমবঙ্গের নিউ সেক্রেটারিয়েট ভবন এলাকায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে রাখা হবে পশ্চিমবঙ্গের নিউ সেক্রেটারিয়েট ভবনে। কামানটি লোহার তৈরি। অক্ষত অবস্থায় এটি উদ্ধার করা হয়েছে।
কামানটি উদ্ধারের পর এই এলাকায় মাটিতে পুঁতে থাকা অন্য কামানটিও উদ্ধারের দাবি উঠেছে।