ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে স্পেনের এক পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের সময় তাঁর স্বামীর হাত বেঁধে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় করা মামলায় এ তথ্য জানিয়েছেন ওই নারী। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, সাতজন মিলে তাঁকে মারধর করেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তাঁর স্বামীও মারধরের শিকার হন।
গত শুক্রবার রাতে রাজ্যের দুমকা শহরে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। শহরের একটি সড়কের পাশ থেকে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওতে স্প্যানিশ ওই নারী বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। সৃষ্টিকর্তাকে অশেষ ধন্যবাদ যে বেঁচে আছি।’
ধর্ষণের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গতকাল রোববার জানিয়েছিল ঝাড়খন্ড পুলিশ। চারজন পলাতক রয়েছেন। গতকালই গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে তোলা হয় বলে জানিয়েছেন দুমকার পুলিশ সুপার পীতম্বর সিং খেওয়ার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী নারী মামলায় উল্লেখ করেছেন, হামলাকারীরা কথা বলার সময় কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করছিলেন। এ বিষয়ে পীতম্বর সিং খেওয়ার বলেন, হামলাকারীদের কেউ কেউ হয়তো বিদেশে অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছিলেন। ফলে কিছু ইংরেজি শব্দের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়েছিল। তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অতীতের নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আদালতে ওই নারী জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।