সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের চিঠি

সিবিআই
ছবি সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সিবিআই ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশাসনকে আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে এই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সংগঠন বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সম্পাদক কিরীটী রায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার এই চিঠি দেওয়া হয়।

সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ১২ ডিসেম্বর লালন শেখ নামের এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ৩ ডিসেম্বর সিবিআই তাঁকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করেছিল।

লালন শেখের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোগটুই গ্রামে বোমা হামলার অভিযোগ ছিল। গত ২১ মার্চ বোগটুই গ্রামে বোমা হামলা হয়। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন।

হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চেয়ে গতকাল দিল্লিতে সিবিআইয়ের মহাপরিচালককে চিঠি দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

একই সঙ্গে চিঠি পাঠানো হয়েছে বীরভূম জেলার মুখ্য প্রশাসক (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট) ও জেলার প্রধান পুলিশ সুপারকে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তাদের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে হবে। মোট ১৪টি প্রতিবেদন চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। প্রয়োজনে আরও তিনটি প্রতিবেদন পাঠানোর কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।

প্রথম অভিযোগ থেকে শুরু করে চিকিৎসা সনদ, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও পরিবারের বক্তব্য ছাড়াও যাবতীয় আইনি কাগজপত্র পাঠাতে বলেছে কমিশন।

হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনা কেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানানো হয়নি, তা চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে কি না, জানানো হলে তারা কি ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে।

১২ ডিসেম্বর বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের দপ্তরে লালন শেখের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

মানবাধিকার সংগঠন মাসুম বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদন জানায়।

ভারতে ২০২১ সালে পুলিশের হেফাজতে ৮৮টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গুজরাট রাজ্যে।