উত্তর প্রদেশের বারানসির জ্ঞানবাপি মসজিদের জরিপের কাজ ৩ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রীতিনকর দিবাকর বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মতামত শোনার পর ওই তারিখ পর্যন্ত রায় স্থগিত রেখেছেন।
কোনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর জ্ঞানবাপি মসজিদ তৈরি কি না, তা নিরূপণের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে (এএসআই) মসজিদ চত্বরে জরিপ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন বারানসি জেলা আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানায় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার দিনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি রায় স্থগিত রাখেন। ওই দিন পর্যন্ত মসজিদের জরিপও বন্ধ থাকবে।
মসজিদ কমিটির পক্ষে আইনজীবী এসএফএ নাকভি গত বুধবারও বলেছিলেন, এএসআইয়ের জরিপের ফলে মসজিদ কাঠামোর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, তারা খোঁড়াখুঁড়ি করবে। তাদের এই শঙ্কা অমূলক বলে হিন্দু মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতকে বলেন।
উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলও আদালতকে বলেন, এখনই খোঁড়াখুঁড়ি করা হবে না। তবে প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে তা করা হতে পারে। প্রধান বিচারপতি ওই যুক্তিতে আশ্বস্ত হতে পারেননি। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন এএসআইয়ের কর্তাকে এজলাসে হাজির করানোর।
বৃহস্পতিবার আইনজীবী নাকভি বেশ কিছু ছবি পেশ করেন। তাতে দেখা যায়, খননকাজের উপযুক্ত যন্ত্রপাতি মসজিদের কাছে জড়ো করা হয়েছে। তিনি বলেন, আবেদনকারীদের কাছে মন্দিরসংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। তারা আদালতকে হাতিয়ার করে এএসআইকে দিয়ে সেই তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে চায়। এটা হতে পারে না।
এজলাসে নাকভি বলেন, মূল মামলার বৈধতার প্রশ্নটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেই মামলার নিষ্পত্তি নিয়ে কোনো পক্ষই সরব নয়। অথচ নানা মানুষ নানাভাবে অন্য মামলা দায়ের করে চলেছেন।
বৃহস্পতিবার দুই পক্ষই আদালতে তাদের যুক্তি পেশ করে। মন্দিরের কাঠামোর ওপর মসজিদ তৈরি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে হিন্দুত্ববাদীদের বক্তব্য, বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা চালালেই তা বোঝা যাবে। সেই উদ্দেশ্যেই এএসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।