ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এটি প্রচার করা হয়। ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন নামের এ তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় পর্বে ভারতের মুসলমানদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক কেমন, তা উঠে এসেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো গতকাল বুধবার এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, ভারতে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বড় জয়ের পর মোদি সরকারের সঙ্গে মুসলমানদের সম্পর্ক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেমন ছিল, তা উঠে এসেছে এ তথ্যচিত্রে।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি বিবিসির এ তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব প্রচার করা হয়। ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাকে ব্যবহার করে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে কীভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন, তা উঠে এসেছিল ওই পর্বে। তবে এ পর্ব প্রচারের পরই ভারত সরকার তা খারিজ করে দেয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ‘বাতিল আখ্যানের প্রচার’ বলে মন্তব্য করে জানিয়েছে, এটা ‘পক্ষপাতিত্বমূলক, বস্তুনিষ্ঠ নয় এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতায় মাখামাখি’। এ ছাড়া এ তথ্যচিত্র প্রচার বন্ধে ইউটিউব-টুইটারকে নির্দেশ দেয় সরকার।
জামিয়া মিলিয়ায় পুলিশের হামলা
এদিকে বিবিসি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আগেই গতকাল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হানা দেয় দিল্লি পুলিশ। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রসংগঠন এসএফআইয়ের নেতা–কর্মীরা। গতকাল সন্ধ্যায় তথ্যচিত্রটি সেখানে দেখানোর পরিকল্পনা করে এসএফআই। ধরপাকড় চলে তার আগেই।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যাঁদের আটক করা হয়, তাঁরা অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছিলেন।
কেরালায় আইন বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লির জওহররাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়েছে। জেএনইউ কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার প্রদর্শন বন্ধ করতে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। তা সত্ত্বেও উৎসাহী পড়ুয়ারা তথ্যচিত্রটি দেখেছেন। অন্যান্য রাজ্যেও তা দেখানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এসএফআইয়ের পক্ষে বলা হচ্ছে, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করেনি। তাই তাঁরা অন্যায় কিছু করছেন না।