মণিপুর রাজ্যে মাঠপর্যায়ে বিরোধী জোটের প্রথম কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ১৬টি দল সরেজমিন অবস্থা দেখতে আজ শনিবার মনিপুর গেছেন। সেখানে তারা কাল রোববারও থাকবেন।
জোটের ১৬ দলের ২১ সংসদ সদস্য রয়েছেন এই প্রতিনিধিদলে। এর মধ্যে চারজন সদস্য কংগ্রেসের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং উপনেতা গৌরব গগৈ। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে রয়েছেন বরাক উপত্যকার নেত্রী সুস্মিতা দেব।
এ ছাড়া প্রধান দলগুলোর মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ুর ডিএমকে, বিহারের আরজেডি ও জনতা দল ইউনাইটেড, উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি, দিল্লির আম আদমি পার্টি, ঝাড়খন্ডের ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, সিপিআইএমসহ একাধিক বামপন্থী দল। আছেন আরও বেশ কয়েকটি ছোট দলের সংসদ সদস্য।
আজ বিকেলেই তাঁরা রাজ্যের জাতিগত সহিংসতার কেন্দ্রস্থল চূড়াচাঁদপুর পরিদর্শনে যাবেন। চূড়াচাঁদপুরে যেতে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে একটি হেলিকপ্টার চেয়েছেন
প্রতিনিধিদল সম্ভবত রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাদের আজকের সফর সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে জানাবেন। চূড়াচাঁদপুরের শিবির ছাড়াও তারা আরও একটি ত্রাণশিবিরে যাবেন। কাল তারা রাজ্যপাল ও বিজেপির সাবেক নেত্রী অনুসুইয়া উইকের সঙ্গে দেখা করবেন।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের দেখা হয় কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। মণিপুর ছাড়ার আগে কাল তারা সংবাদ সম্মেলন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি থেকে মণিপুরের বিমান ধরার আগে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নেতা-নেত্রীদের প্রায় সবাই। তাঁরা প্রত্যেকেই বলেন, মণিপুরের অবস্থা ক্রমে খারাপ হচ্ছে হলে বাধ্য হয়েই তাঁদের যেতে হচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর চাপ সত্ত্বেও ভারতের পার্লামেন্টে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো কোনো বক্তব্য দেননি। এ কারণে সেখানকার অবস্থা খতিয়ে দেখতেই তাঁদের মণিপুর সফর।
প্রতিনিধিদলের সদস্য গৌরব গগৈ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে আমরা মণিপুরের মানুষের উদ্বেগের কথা সংসদের সামনে তুলে ধরতে চাই। যাঁরা এক ভারতের কথা বলতেন, তাঁরা মণিপুরে বিবদমান দুটি পক্ষ তৈরি করেছেন।’
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব, বলেন, ‘আমরা উভয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। মণিপুরের মানুষের কথা শুনতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।’
গত মে মাসের শুরু থেকে চলা জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মণিপুরে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মারা গেছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অনেক নারী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি নিয়ে এখনো সংসদে তাঁর মতামত জানাননি।