শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডা ও ভারতের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন আগেই দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতারা।
জি-২০ সম্মেলনে হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানাশোনা আছে, এমন তিন ব্যক্তির বরাতে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মোদির কাছে ঘটনাটি সরাসরি তুলেছিল ‘ফাইভ আইস’ নামে পাঁচ দেশের গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের একটি নেটওয়ার্কের কয়েকজন সদস্য। এই নেটওয়ার্কে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন বলেছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানেই মোদির কাছে হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাইডেনসহ অন্য নেতারা। তবে প্রতিবেদনটি নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস। তাদের একজন মুখপাত্র শুধু গতকাল বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এদিকে হরদীপ সিংয়ের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। একে ‘অযৌক্তিক’ বলেছে তারা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডা তাদের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি।
গত জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে একটি শিখ মন্দিরের বাইরে ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিংকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর জন্ম ভারতের পাঞ্জাবে। ২০০৭ সালে তিনি কানাডায় পাড়ি জমান। ভারতের পাঞ্জাবে শিখদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে হরদীপকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেয় ভারত।