মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলা শহরে সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা। গত সেপ্টেম্বর (২০২৩) সালে তোলা
মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলা শহরে সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা। গত সেপ্টেম্বর (২০২৩) সালে তোলা

মণিপুরে আবার সহিংসতা, নিহত ৪

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে গতকাল সোমবার নতুন করে সহিংসতায় চারজন নিহত হয়েছেন। সহিংসতায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার পর রাজ্যের পাঁচটি জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। মণিপুরের থৌবল জেলায় একদল দুষ্কৃতকারী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। অস্ত্রধারী কারা, তা অবশ্য শনাক্ত করা যায়নি।

হামলার পর অস্ত্রধারীদের ব্যবহার করা গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ অধিবাসীরা।

স্থানীয় এক অধিবাসী বলেন, অস্ত্র নিয়ে একদল লোক এখানে এসেছিল। তারা একজন লোকের সঙ্গে কথা বলছিল। একসময় তাদের সংঘাত বেধে যায়। একটু পরেই তারা গুলি ছুড়তে শুরু করে।

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এক ভিডিও বার্তায় এ সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানান। তিনি শান্তি বজায় রাখতে স্থানীয় মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান। ভিডিও বার্তায় বীরেন সিং বলেন, ‘নিরীহ মানুষের এই প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে অনুশোচনা জানাচ্ছি। দুষ্কৃতকারীদের ধরতে আমরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। আমি অনুরোধ করছি, দুষ্কৃতকারীদের ধরতে সরকারকে সহযোগিতা করুন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সরকার আইন মেনে ন্যায়বিচারে জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করবে।’

সহিংসতার এ ঘটনার পর মণিপুরের থৌবল, ইম্ফল ইস্ট, ইম্ফল ওয়েস্ট, কাকচিং ও বিষ্ণুপুর এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তিন দিন আগে এই মণিপুরের মোরে শহরে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে পুলিশের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য আহত হন।

মণিপুরে গত বছরের ৩ মে থেকে ভয়াবহ সহিংসতা শুরু হয়। গত বছরজুড়েই থেমে থেমে এ সহিংসতা চলে। এযাবৎ এ সহিংসতায় ১৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। বাস্তুহারা হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।