ভারত সরকার মণিপুরকে ক্রমে ‘আফগানিস্তানে’র মতো একটি ‘ব্যানানা রিপাবলিকে’ অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল এবং আইনশৃঙ্খলাহীন রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। এ মন্তব্য করেছেন মণিপুরের কংগ্রেস এমপি, চিত্রপরিচালক ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বিমল আকৌজাম।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই একটি সাক্ষাৎকারের সূত্রে আকৌজামের কাছে জানতে চেয়েছিল, মণিপুর ধীরে ধীরে আরেকটি আফগানিস্তানে পরিণত হচ্ছে কি না? জবাবে আকৌজাম বলেন, ‘মণিপুরে যা হচ্ছে, ভারত সরকার তা হতে দিচ্ছে। অতএব মণিপুর আফগানিস্তানের পথে যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন না করে আমাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত, কেন ভারত সরকার মণিপুরকে আফগানিস্তানের মতো একটি “ব্যানানা রিপাবলিকে” পরিণত হতে দিচ্ছে।’ আকৌজামের অভিযোগ, মণিপুরকে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। তাঁর মতে, ‘কেউ এই গোটা পরিকল্পনা অন্য একদল লোকের সঙ্গে মিলিতভাবে করছে। এদের উদ্দেশ্য, রাজ্যটাকে টুকরা টুকরা করা।’
উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশে যদি এমনটা ঘটত, তাহলে কি এই ঘটনা এভাবে চলতে দেওয়া হতো? বেশির ভাগ মানুষই বলবেন না, তা হতো না, বলেন আকৌজাম। মণিপুরে ৬০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিশ্চিতভাবেই অনেক আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না বলে মনে করেন অধ্যাপক আকৌজাম।
মণিপুরে গত দেড় বছরের সহিংসতায় অন্তত আড়াই শ জনের মৃত্যু হয়েছে, গৃহহীন হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। সহিংসতা শুরু হওয়ার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো মণিপুর সফর করেননি।
গতকাল শনিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে অন্তত ৯০০ কুকি জঙ্গি মণিপুরে প্রবেশ করেছে এবং তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্যে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আকৌজাম বলেন, মণিপুরে যে সহিংসতা দেখা গেছে, তা উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারতে নজিরবিহীন। এটিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সামরিকশৈলীর অভিযান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একধরনের গৃহযুদ্ধও বলা যেতে পারে বলে মনে করেন আকৌজাম।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে মানুষের আস্থা চলে যাওয়ার প্রসঙ্গেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আকৌজাম। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরে মানুষের আস্থা হারানোর প্রশ্নে।ভারত সরকার মণিপুরকে ক্রমে ‘আফগানিস্তানে’র মতো একটি ‘ব্যানানা রিপাবলিকে’ অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল এবং আইনশৃঙ্খলাহীন রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। এ মন্তব্য করেছেন মণিপুরের কংগ্রেস এমপি, চিত্রপরিচালক ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বিমল আকৌজাম।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই একটি সাক্ষাৎকারের সূত্রে আকৌজামের কাছে জানতে চেয়েছিল, মণিপুর ধীরে ধীরে আরেকটি আফগানিস্তানে পরিণত হচ্ছে কি না? জবাবে আকৌজাম বলেন, ‘মণিপুরে যা হচ্ছে, ভারত সরকার তা হতে দিচ্ছে। অতএব মণিপুর আফগানিস্তানের পথে যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন না করে আমাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত, কেন ভারত সরকার মণিপুরকে আফগানিস্তানের মতো একটি “ব্যানানা রিপাবলিকে” পরিণত হতে দিচ্ছে।’ আকৌজামের অভিযোগ, মণিপুরকে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে। তাঁর মতে, ‘কেউ এই গোটা পরিকল্পনা অন্য একদল লোকের সঙ্গে মিলিতভাবে করছে। এদের উদ্দেশ্য, রাজ্যটাকে টুকরা টুকরা করা।’
উত্তর প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশে যদি এমনটা ঘটত, তাহলে কি এই ঘটনা এভাবে চলতে দেওয়া হতো? বেশির ভাগ মানুষই বলবেন না, তা হতো না, বলেন আকৌজাম। মণিপুরে ৬০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিশ্চিতভাবেই অনেক আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না বলে মনে করেন অধ্যাপক আকৌজাম।
মণিপুরে গত দেড় বছরের সহিংসতায় অন্তত আড়াই শ জনের মৃত্যু হয়েছে, গৃহহীন হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। সহিংসতা শুরু হওয়ার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো মণিপুর সফর করেননি।
গতকাল শনিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে অন্তত ৯০০ কুকি জঙ্গি মণিপুরে প্রবেশ করেছে এবং তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্যে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আকৌজাম বলেন, মণিপুরে যে সহিংসতা দেখা গেছে, তা উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারতে নজিরবিহীন। এটিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সামরিকশৈলীর অভিযান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একধরনের গৃহযুদ্ধও বলা যেতে পারে বলে মনে করেন আকৌজাম।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে মানুষের আস্থা চলে যাওয়ার প্রসঙ্গেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আকৌজাম। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরে মানুষের আস্থা হারানোর প্রশ্নে।