বাংলাদেশে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষণের নীতি অনুসরণ করবে ভারত। পাশাপাশি দেশটি সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে রাখবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে।
পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার এক দিন পর আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে ভারত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করল। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন থেকে সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভের সূত্রপাত। সহিংস বিক্ষোভে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন।
সূত্র বলছে, সর্বদলীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ বিষয়ে অন্য কোনো দেশ হস্তক্ষেপ করলে কী নীতি গ্রহণ করা হবে, সে বিষয়ও উঠে আসে বৈঠকে।
এ সময় লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী জানতে চান, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইরের কোনো গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়ে সরকারের কাছে তথ্য আছে কি না। উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, ভারত সরকারের কাছে শুধু এই তথ্য আছে যে পাকিস্তানের কূটনীতিকরা বিক্ষোভের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করেছেন।
বৈঠকে রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা কে সি ভানুগোপাল, জনতা দলের লাল্লান সিং, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের সুদ্বীপ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জড়িত থাকতে পারে।’