দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাকসেনার সঙ্গে দেখা করে তিনি পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় নিজের বাসভবনে কেজরিওয়াল পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন। সেখানেই নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে। দুপুর ১২টার মধ্যে সেই পর্ব শেষ হবে বলে পিটিআই জানিয়েছে।
আবগারি (মদ) মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আম আদমি পার্টির (আপ) অন্য নেতাদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রথমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), পরে একই অভিযোগ তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর গত রোববার কেজরিওয়াল আচমকাই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান। সেদিনই বলেছিলেন, দুই দিনের মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব অন্য কেউ নেবেন।
ছয় মাস জেল বন্দী থাকলেও কেজরিওয়াল বিরোধীদের দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েননি। এখন ছাড়ছেন জনতার রায় নেবেন বলে। তিনি বলেছেন, দেরি না করে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটের সঙ্গেই যেন নভেম্বর মাসে দিল্লি বিধানসভার ভোট করানো হয়। দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যিনিই হন, ভোট পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন থাকবেন। উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া আগেই জানিয়েছিলেন, অভিযোগমুক্ত না হলে অথবা জনতার রায় না পেলে তিনি মন্ত্রী হবেন না।
সরকারের কাজ সামলাচ্ছেন প্রধানত আতিশি, সৌরভ ভরদ্বাজ, কৈলাস গেহলট, গোপাল রাই, ইমরান হুসেনরা। কেজরিওয়াল এ বিষয়ে জনতার অভিমতও যাচাই করছেন বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি বিধানসভার মোট আসন ৭০। গত ভোটে আপ জিতেছিল ৬৭ আসন।