ভারতের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করে ইসরো।
ভারতের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করে ইসরো।

চাঁদের পর এবার সূর্য অভিযানে যাচ্ছে ভারত

চাঁদে সফলভাবে অবতরণের পর এবার সূর্যের দিকে নজর দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সূর্য নিয়ে গবেষণা চালাতে একটি মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।

ভারতে সৌর অভিযানে ব্যবহার করা হবে আদিত্য-এল ১ নামের মহাকাশযান। এটি দিয়ে সূর্যের বহির্ভাগের পরিবেশের বিভিন্ন স্তর পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া সৌরঝড় পর্যবেক্ষণ করতে সূর্যের ১৫ লাখ কিলোমিটারের মধ্যে (এল-১ পয়েন্ট) যাবে মহাকাশযানটি।

সূর্য নিয়ে গবেষণায় এটিই হবে ইসরোর প্রথম অভিযান। এ অভিযানে ব্যবহৃত হতে যাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহটি দুই সপ্তাহ আগে অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটায় ইসরোর সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ইসরোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২ সেপ্টেম্বর মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

ইসরো জানিয়েছে, পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী এল-১ পয়েন্টে একটি কক্ষপথে মহাকাশযানটি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই কক্ষপথে স্থাপনের বড় সুবিধা হলো, সেখান থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সব সময় সূর্যের বিভিন্ন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এ ছাড়া মহাকাশের পরিবেশের ওপর সূর্যের প্রভাব সম্পর্কে জানা যাবে।

এর আগে গত বুধবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণের কৃতিত্ব দেখায় ভারত। আর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের নাম ‘বিক্রম’, রোভারের নাম ‘প্রজ্ঞান’। ল্যান্ডারটি উচ্চতায় ২ মিটারের মতো, ওজন ১ হাজার ৭০০ কেজির বেশি। আকারে ছোট রোভারের ওজন ২৬ কেজি মাত্র। রোভারটি চাঁদের বুকে ঘুরে ঘুরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে।